বাংলা সংগীতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম রোমানা মোর্শেদ কনক চাঁপা। অসংখ্য গান গেয়ে মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রথিতযশা কণ্ঠশিল্পীর জন্মদিন ছিল। রাত ১২টার পর থেকেই জন্মদিনে ভক্তরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কনক চাঁপাকে।
সাধারণত জন্মদিন নিয়ে তেমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন না তিনি। কিন্তু এবার ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি ভক্তসহ সবাইকে ফিরতি ভালোবাসা পাঠিয়েছেন।
কনক চাঁপা ভিডিও বার্তায় বলেন, “প্রিয় ভালোবাসার মানুষরা, আমি আপনাদের কখনো দর্শক শ্রোতা বা ফলোয়ার চিন্তা করি না। আমি শুধু মনে করি ভালোবাসার মানুষ। আপনারা আমাকে যেভাবে ভালোবাসেন আমিও আপনাদের সেভাবে ভালোবাসি। আজ আমি ৫২ বছর পার করে ৫৩ বছরে পা রেখেছি। আপানাদের দোয়ায় আমি এখনও সুস্থতা নিয়ে বেঁচে আছি।”
তিনি আরও বলেন, “আপনারা যেভাবে বন্যার পানির মতো শুভকামনা জানিয়েছেন এই উত্তর দিতে গেলে আমার অনেক দিন চলে যাবে। আমি অভিভূত, বিস্মিত। আমি যখন ফেসবুক খুললাম তখন স্পষ্ট করে বুঝতে পেলাম আপনারা কত বেশি ভালোবাসেন আমাকে।”
কনক চাঁপা আরও বলেন, “এবারের জন্মদিনটাও কাটিয়েছি আমেরিকায়। মা, সন্তান, নাতি নাতনিরা আছেন দেশে। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। অনেক পুরাতন স্মৃতি মনে করে দিচ্ছিলেন মা। তখন আমার কান্না চলে আসছিল। আমার ভাগ্নি অ্যানির সঙ্গে কাটছে দিনটা। ভাগ্নি জামাই শাহেদ একটা কেক নিয়ে এসে হঠাৎ করে আমাকে চমকে দিলো। দেশে বিদেশে অনেক বাংলা ভাষা ভাষিরা আমার গান ভালোবাসেন। সবাইকে আবার অনেক ভালোবাসা। আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেনো কোনো ভুল কাজ না করি, আপনাদের মনে যেন কষ্ট না দেই। আর শিগগিরই দেশে ফিরে আসবো আশা করছি।”
অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়ে কনক চাঁপা বাংলা গানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। চলচ্চিত্র, আধুনিক গান, নজরুল সংগীত, লোকগীতিসহ প্রায় সব ধরনের গানে কনক চাঁপা সমান পারদর্শী। তিনি ৩২ বছর ধরে সংগীতাঙ্গনে কাজ করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত চলচ্চিত্রের তিন হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এ গায়িকা। প্রকাশ হয়েছে ৩৫টি একক গানের অ্যালবাম।
গানের পাশাপাশি লেখক হিসেবেও কনকচাঁপার সুখ্যাতি রয়েছে। ২০১০ সালের অমর একুশে বইমেলায় ‘স্থবির যাযাবর’, ২০১২ সালের অমর একুশে বইমেলায় ‘মুখোমুখি যোদ্ধা’ ও ২০১৬ সালের অমর একুশে বইমেলায় ‘মেঘের ডানায় চড়ে’ নামে তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে কনক চাঁপার।