কিছুদিন আগেই এক ভয়ঙ্কর মিসাইলের কথা ঘোষণা করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এবার সেই মিসাইক সফলভাবে ছুঁড়ল রাশিয়া। এই মিসাইলের ওয়ারহেড আমেরিকার সামরিক ব্যবস্থাকে তছনছ করে দিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পুতিন।
আজ সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সেই মিসাইল সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হয়েছে। মিগ ৩১ যুদ্ধ বিমান থেকে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। আগে থেকেই নির্দিষ্ট করা একটি স্থানে এই পরীক্ষা করা হয়। রাশিয়ার কিঞ্ঝাল মিসাইল সিস্টেমের অন্তর্গত এই হাইপারসনিক মিসাইল।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয় সূত্রে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তিগত দিকগুলি সব ঠিক আছে। পরীক্ষার পর বিষয়টি নিয়ে তারা সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছে তারা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে মিলিটারি জেট মিসাইল নিয়ে যাচ্ছে। মিসাইলের বেশ কিছু অংশ ঢাকা রয়েছে।
রাশিয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এই মার্চেই। তার আগে প্রেসিডেন্ট পুটিনের একটি পদক্ষেপ বিশ্বের কাছে শক্তি জাহির বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও রাশিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে খুব একটা বড় করে দেখতে রাজি নয় আমেরিকা। তারা জানিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের ফলে রাশিয়ার সামরিক শক্তিতে খুব একটা বড় কিছু পরিবর্তন আসবে না।
আগেই রাশিয়া জানিয়েছিল, শব্দের থেকে আট গুণ বেশি গতি সম্পন্ন এই মিসাইল। রাশিয়া, আমেরিকা ও চীনের সঙ্গে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিতে রীতিমত তৈরি সেই মিসাইল। এমনকি এটি ন্যাটো মিসাইল ইন্টারেসপ্টরকেও গুঁড়িয়ে দিতে পারে বলে দাবি করে রাশিয়া। গত জুন মাসে শেষবার সফলভাবে পরীক্ষা করা হয় এই মিসাইল।
২০ বছর ধরে তৈরি করা হয়েছে এই মিসাইল। ১৯৯৫ সালে প্রথম প্রকাশ্যে আনা হয়। রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, মিসাইল লঞ্চারে থাকবে এই মিসাইল। শত্রুপক্ষের জাহাজ নিধন করতে পারবে এটি ৬১৩৮ মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে এটি ৬৫০ মাইল যেতে পারবে। এরপরে রয়েছে একমাত্র রয়্যাল নেভির একটি মিসাইল ইন্টারসেপ্টর।