নিষেধাজ্ঞা জারি করে নতুন করে ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করলো যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশন গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) সঙ্গে সম্পৃক্ত ছয় ব্যক্তিসহ তিন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন বলেন, ‘ধ্বংসাত্মক কাজের জন্য ওই বাহিনীতে যারা লাখ লাখ অর্থ সরবরাহ করেছে, তাদের জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ এই বাহিনীতে সরবরাহের দায়ে ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংককেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কারো নাম জানানো হয়নি। তবে অভিযুক্তরা সবাই ইরানের নাগরিক বলে তারা জানান। নিষেধাজ্ঞা পাওয়া এই ব্যক্তিসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানও কোনো ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন না।
অর্থমন্ত্রী মানুচিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইরান সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে অবৈধভাবে মার্কিন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে এবং ক্ষতিকর কাজের জন্য আইআরজিসিকে অর্থায়ন করেছে। এর মধ্যে আঞ্চলিক বিভিন্ন সংগঠনও রয়েছে। আমরা এই বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত এমন ব্যক্তি এবং কাজের সঙ্গে আমাদের সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিকল্পনা করছি,’ তিনি যোগ করেন।
১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বাহিনী ‘আইআরজিসি’ ইরানের ইসলামিক ব্যবস্থা রক্ষার জন্য নিয়োজিত প্রতিরক্ষা বাহিনী, যা দেশটির একই সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাজেও নিয়োজিত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত ও সন্ত্রাসী’ বাহিনী বলে আখ্যায়িত করেছেন।
মাত্র দুদিন আগে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর দুদিন পরেই এই নিষেধাজ্ঞায় ইরানের ওপর নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টাই প্রকাশ পায়। তবে ইরানের প্রধান নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তকে ভুল বলে মন্তব্য করেন।