গত ১২ জানুয়ারির অভিযানে নিহত দুজনের পরিচয় পেতে বৃহস্পতিবার র্যাব তাদের ছবি প্রকাশের পর চট্টগ্রামের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাদের একজনকে নাফিস উল ইসলাম বলে শনাক্ত করেন।
চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ- কমিশনার এ এ এম হুমায়ন কবীর বলেন, এই নাফিস নিখোঁজ হওয়ার পর তাকে খুঁজতে গিয়ে গত ১ জানুয়ারি বন্দর নগরীর মাদারবাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানার সন্ধান মিলেছিল।
কাজেম আলী হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র নাফিস চট্টগ্রাম কলেজের পূর্ব গেইট সংলগ্ন ইউনুস বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
তার বাবা নজরুল ইসলাম গত বছরের ৭ অক্টোবর থানায় জিডি করেছিলেন। তাতে বলেছিলেন, ৬ অক্টোবর বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ তার ছেলে। ২০১৬ সালে গুলশান হামলাকারী তরুণরাও এভাবে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা হুমায়ন বলেন, “ওই জিডির তদন্ত করতে গিয়ে নাফিসের জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়টি পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরে গত ১ জানুয়ারি রাতে সদরঘাট থানার মাদারবাড়ি এলাকা থেকে আশফাকুর রহমান ও রাকিবুল হাসান নামে দুই জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
আশফাক ও রাকিবুল সদরঘাট থানা আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে পুলিশের দাবি। ওই অভিযানে নাফিসের সন্ধান মেলেনি। এরপর গত ১২ জানুয়ারি ঢাকার নাখালপাড়ায় একটি বাড়িতে র্যাবের অভিযানে নিহত হন তিনজন।
র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান বলেন, জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত ওই তিনজনের মধ্যে মেজবাহ উদ্দিন নামে একজনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছেন তারা। বাকি দুজনের পরিচয় না পাওয়ায় তাদের ছবি বৃহস্পতিবার তারা প্রকাশ করেন। তাদের একজনই নাফিস বলে চট্টগ্রাম পুলিশ নিশ্চিত করল। বাকি একজনের পরিচয় এখনও মেলেনি।