পাকিস্তানে নির্বাচন আজ, ভোটগ্রহন শুরু

0
আজ বুধবার পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ এবং জঙ্গি হামলার আশংকার মধ্যেই দেশটিতে আজ পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক পরিষদের ভোট হ

আজ বুধবার পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ এবং জঙ্গি হামলার আশংকার মধ্যেই দেশটিতে আজ পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক পরিষদের ভোট হচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করতে দেশটিতে ব্যাপক হারে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবারের নির্বাচনে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কারাগারে আটক নওয়াজ শরিফের মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) ও বাইরে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের মধ্যে। পাকিস্তানে গ্যালাপসহ পাঁচটি সংস্থার জরিপে দেখা গেছে, পিটিআই নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে, তবে পিএমএল-এন এর সঙ্গে জোর লড়াই হবে।

জয়ের অনেকটাই নির্ভর করবে সিদ্ধান্তহীন ভোটারদের ওপর। বিশেষ করে পাঞ্জাবের ১২ ভাগ সিদ্ধান্তহীন ভোটার জয়-পরাজয় নির্ধারণ করতে পারে। কারণ এখানকার ভোটই ফেডারেল সরকারে কে ক্ষমতায় আসবে সেটা নির্ধারণ করে।

এর মধ্যে প্রার্থীদের মধ্যে আশংকা যে, ভোটের দিন বিচারের ক্ষেত্রে ইচ্ছামতো কাউকে অযোগ্য ঘোষণা কিংবা গ্রেপ্তার করা হতে পারে। কারণ সেনাবাহিনীতে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত পহেলা মে থেকে ১১ জুলাই পর্যান্ত ২২ হাজার ভোটারের ওপর চালানো জরিপে জানা জানা যায়, পিএমএল-এন মধ্য ও পশ্চিম পাঞ্জাবে ও পিটিআই দক্ষিণ পাঞ্জাবে জয় পেতে পারে।

অন্যদিকে উত্তর পাঞ্জাবে দুই দলের মধ্যে কঠোর লড়াই হবে। সিন্ধুতে পাকিস্তান পিপলস পার্টি, খাইবার পাখতুন খাওয়ায় পিটিআই এবং বেলুচিস্তানে জোট সরকার হতে পারে। নির্বাচনে ১০ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ৪ লাখ ৭০ হাজার নারী। দেশটির জনসংখ্যার ৬০ ভাগ মানুষ বাস করে পাঞ্জাবে।

এবার প্রথমবারের মতো খাইবার পাখতুনখাওয়ায় উপজাতিরা ভোট দিতে পারবেন। পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদের ২৭২টি আসনে এবং প্রাদেশিক পরিষদের ৫৭৭ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১২ হাজার প্রার্থী।

নির্বাচনে সেনাবাহিনী পিটিআইকে জেতানোর চেষ্টা করছে বলে অনেক আগে থেকেই অভিযোগ আছে। এর মধ্যে আবার সন্ত্রাসী হামলার আশংকা। এই আশংকায় দেশটিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সারা দেশে ৮৫ হাজার ৩০৭টি ভোট কেন্দ্রে ৩ লাখ ৭১ হাজারের বেশি সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

দেশটির ইতিহাসে নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনা মোতায়েনের ঘটনা এটি। ভোট কেন্দ্রের ভেতরে এবং বাইরে উভয় স্থানে সেনা মোতায়েন করা হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা হচ্ছে।