এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা না আসলেও ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ও অন্যান্য ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতে হচ্ছে না এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
নতুন ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাত। ১৬ দলের এই বিশ্বকাপ আগামী ১৭ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৪ নভেম্বর শেষ হবে। আমিরাতে আয়োজিত হলেও আয়োজনের সব সত্ত্ব থাকবে বিসিসিআইয়েরই।
পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড বা আট দলের বাছাই রাউন্ডের খেলাগুলো হবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে। এরপর মূল পর্বের সব খেলা হবে আরব আমিরাতে।
বিশ্বকাপ নক-আউট পর্বের আগে দুই রাউন্ডে খেলা হবে। প্রথম রাউন্ডে ৮ দল খেলবে ১২টি ম্যাচ। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া, ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি – এই আট দল থেকে সেরা ৪টি দল যাবে পরের রাউন্ড সুপার টুয়েলভ- এ। অন্যদিকে টি – টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা ৮টি দল সরাসরিই খেলবে সুপার টুয়েলভ রাউন্ডে। বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা চার দল এই ৮ দলের সঙ্গী হবে।
সুপার টুয়েলভ রাউন্ডে মোট ম্যাচ ৩০টি। ১২টি দলকে ছয়টি করে দল নিয়ে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। দুবাই, আবুধাবি ও শারজাহ; আরব আমিরাতের তিন ভেন্যুতে হবে এই রাউন্ডের ম্যাচগুলো। সুপার টুয়েলভ রাউন্ড শেষে বাকি থাকবে দুটি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।
ভারতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবছরের মে মাসে স্থগিত হওয়া আইপিএলের বাকি অংশও হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতেই। ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া আইপিএলের ফাইনাল হতে পারে ১৫ অক্টোবর, সে ক্ষেত্রে তার দুদিন পরই শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগেই এক মাস আইপিএলের খেলার ফলে টানা ক্রিকেটে ক্লান্ত আমিরাতের উইকেটকে বিশ্রাম দিতে বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো ওমান ও আরব আমিরাতের দুটি স্টেডিয়ামে ভাগাভাগি করে আয়োজন করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুন আইসিসি ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারবে কি না সে সিদ্ধান্ত এ মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে জানাতে বলেছিলো। এছাড়া কিছুদিন আগে আইসিসির এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘বিসিসিআইকে তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের চেষ্টা করার অনুরোধ জানিয়েছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি দেশকেও ভাবনায় রাখতে বলেছে।’
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই আইসিসিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু না জানালেও তাদের পরিকল্পনা বেশ পরিস্কার। ভারতে করোনা পরিস্থিতি গত এপ্রিল-মে মাসের চেয়ে এখন কিছুটা ভালো হলেও এখনো করোনা রোগী শনাক্তের হার প্রতিদিন ৪০-৫০ হাজারের মতো। ভারতের অনেক স্বাস্থ্যবিদ অনুমান করেছেন, ২০২১ সালের শেষের দিকে ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউও হানা দিতে পারে। তাই ঝুঁকি এড়াতে বিসিসিআই শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ আরব আমিরাতেই সরিয়ে নিতে যাচ্ছে।