মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসের প্রকাশিত গোপন নথিতে এ তথ্য জানা গেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, কংগ্রেস প্রকাশিত চার পৃষ্ঠার নথিতে বলা হয়েছে গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারাভিযানে গুপ্তচরবৃত্তি করে এফবিআই।
নথিতে দাবি করা হয়, ডেমোক্রেটিক পার্টির অর্থায়নে পরিচালিত একটি গবেষণায় পাওয়া অপ্রমাণিত ফল ব্যবহার করে একটি পরোয়ানার পাওয়ার চেষ্টা করে এফবিআই। যে পরোয়ানার জোরে সংস্থাটি ট্রাম্পের উপদেষ্টা কার্টার পেজের ওপর নজরদারি করতে চায়। ট্রাম্পের এই উপদেষ্টার সঙ্গে রাশিয়ার ব্যাপক যোগাযোগ রয়েছে। এই নথি প্রকাশের পর ট্রাম্প বলেন, ‘এটা ভয়ানক। অসম্মানজনক। দেশে এসব কী হচ্ছে। এতে অনেক মানুষ লজ্জিত বোধ করবেন।’
শুক্রবারই এই নথি প্রকাশের অনুমোদন দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই নথি প্রকাশকে ঘিরে ট্রাম্প ও বিচার বিভাগের মধ্যকার চাপা বৈরিতা প্রকাশ্যে চলে আসে। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগে তদন্তসংক্রান্ত এই গোপন নথি প্রকাশে ট্রাম্প অনুমোদন দিতে পারেন—এই সম্ভাব্য পদক্ষেপকে গত বুধবার প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করে বসে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই)।
বিরল এক অস্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ‘গভীর উদ্বেগ’ জানিয়ে এফবিআই বলেছে, চার পৃষ্ঠার ওই নথিতে প্রকৃত ঘটনার তথ্য ঘষামাজা করা হয়েছে।
নথিটি মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকান নেতাদের রচিত এবং এতে বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে গোপন নজরদারির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগের বিষয়টি আগেই অনুমান করা হয়েছিল। এফবিআইয়ের এই বিবৃতি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাটিকে একজন কমান্ডার-ইন-চিফের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। গত মে মাসে এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কোমিকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প। কোমি সে সময় রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তদন্ত করছিলেন। কোমির পাশাপাশি অ্যাটর্নি জেনারেলসহ ওই তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজনকে সরানোর অভিপ্রায়ও ছিল ট্রাম্পের।