২৪ জুন, ১৯৮৭। এইদিনে হোর্হে মেসি ও সেলিয়া কুচেত্তিনির ঘর আলো করে আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে জন্ম নিয়েছিলেন ক্ষুদে জাদুকর। আজ পায়ের জাদুতে পুরো ফুটবল বিশ্বকেই মাতিয়ে রাখা লিওনেল আন্দ্রেস মেসি কুচেত্তিনি বা সংক্ষেপে লিওনেল মেসির জন্মদিন।
বা-মার তৃতীয় সন্তান লিওনেল মেসি। স্বাভাবিক বাচ্চাদের মত ছিল না তার বাল্যকাল। দৈহিক অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে খুব ছোট্ট থাকতেই। সেই অস্বাভাবিকতা জয় করে গত প্রায় ২ দশক করে ফুটবল মাঠে একের পর এক অস্বাভাবিক ঘটনার জন্মই দিয়েছেন তিনি।
মেসি বলতেই ফুটবলপ্রেমীদের চোখে আর্জেন্টিনার চেয়েও বার্সেলোনার লোগো ভেসে ওঠে। বার্সা ও মেসিকে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ বলেই ভাবেন অনেকে।
আর তা ভাবাটাই স্বাভাবিক। তার পুরো পথচলা বার্সার সাথেই। ১৩ বছর বয়সে আর্জেন্টিনার নিউওয়েলস ওল্ড বয়েস ক্লাব থেকে বিনা ট্রান্সফার ফিতে ন্যু ক্যাম্পে যোগ দেন মেসি। ২০০২ সাল থেকে বার্সা যুবদলে খেলার মাধ্যমে তার বার্সেলোনা অধ্যায় শুরু করেন। ২০০৩ সালে যোগ দেন বার্সার অনূর্ধ্ব-১৬ দলে। এরপর বার্সা অনূর্ধ্ব-১৯, বার্সা সি দল এবং বার্সা বি দলের হয়ে খেলা সম্পন্ন করে ২০০৫ সালে ১ জুলাই থেকে বার্সার মূল দলে ঠাই হয় তার।
এরপর থেকেই বিশ্বফুটবলের অন্যতম সেরা তারকায় পরিণত হন মেসি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মেসি বার্সেলনার হয়ে ৭৩১ ম্যাচ খেলে ৬৩৪টি গোল করেছেন। তার মধ্যে লা লিগায় ৪৮৫ ম্যাচে ৪৪৪ গোল, চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ১৪৩ ম্যাচে করেছেন ১১৫ গোল, কোপা দেল’রে তে ৭৫ ম্যাচে ৫৩ গোল, সুপার কোপায় ১৯ ম্যাচে ১৪ গোল, ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপে ৫ ম্যাচে ৫ গোল ও উয়েফা সুপার কাপে ৪ ম্যাচে ৩ গোল রয়েছে তার।
মেসির এসিস্টে গোলের পরিসংখ্যান ঈর্ষণীয়। তার বানিয়ে দেয়া বলে লা লিগায় ৪৮৫ ম্যাচে ২০১ গোল, চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৪৩ ম্যাচে ৩৯, কোপা দেল’রে তে ৭৫ ম্যাচে ৩৬, সুপার কোপায় ১৯ ম্যাচে ৫, ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপে ৫ ম্যাচে ১ ও উয়েফা সুপার কাপে ৪ ম্যাচে ৩ গোল হয়েছে। মেসি তার পুরো ক্যারিয়ারে বার্সার হয়ে ৫৯ হাজার ৩১৫ মিনিট মাঠে ছিলেন। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৯ হাজার ১২০ মিনিট খেলেছে লা লিগায়। সর্বনিম্ন ৪২০ মিনিট খেলেছেন উয়েফা সুপার কাপে। পুরো ক্যারিয়ারে হলুদ কার্ড দেখেছেন ৭৫টি। লাল কার্ড একটিও দেখেননি।
বর্তমান সময়ের এ সেরা তারকা ৬ বার ফিফার বর্ষসেরে খেলোয়াড় হয়েছেন। ব্যালন ডি অর জিতেছেন ৬ বার। বার্সার হয়ে চারবার জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ১০ বার স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নের ট্রফি ও ৬ বার স্প্যানিশ কাপ জেতেন এ মহাতারকা।