সিগন্যাল অমান্য করে গাড়ি চালিয়ে একজন মোটরসাইকেল চালককে হত্যার অভিযোগে ইমানুয়েল হল নামের যুক্তরাষ্ট্রের একজন কূটনীতিককে পাকিস্তান ছাড়তে দেয়নি দেশটির সরকার। পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলা হয়, পাকিস্তানে মার্কিন ডিফেন্স অ্যাটাচে কর্নেল ইমানুয়েল হলকে নেওয়ার জন্য একটি বিমান পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তাকে পাকিস্তান ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এর আগে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছিলেন, কূটনৈতিক অব্যাহতি থাকায় হলকে গ্রেফতার বা তার বিচার করা যাবে না। এ ঘটনা দু’দেশের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
গত ৭ এপ্রিল ইসলামাবাদে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আতিক বেগ (২২) নামের এক তরুণ নিহত হন। এরপর দুর্ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই সংযোগ সড়কে লাল বাতি থাকার পরও একটি সাদা গাড়ি সিগন্যাল অমান্য করে সামনে ছুটতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পর আতিকের মোটরসাইকেলের সঙ্গে গাড়িটির সংঘর্ষ হয়। এ সময় কর্নেল হল মদ্যপ অবস্থায় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তবে এ খবরকে নাকচ করে দিয়েছে পাকিস্তানে মার্কিন দূতাবাস।
ইসলামাবাদের হাইকোর্টে কর্নেল হলের বিচারের দাবি তুলেছেন নিহত আতিক বেগের বাবা। শুক্রবার হাইকোর্ট রুল জারি করেছে, কর্নেল হল সম্পূর্ণভাবে কূটনৈতিক অব্যাহতি পাবেন না।
এরই মধ্যে তার নাম ভ্রমণের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে তিনি পাকিস্তানের কোনো বিমানবন্দর থেকেই দেশটির বাইরে যেতে পারবেন না। তবে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি পাকিস্তান বা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কর্মকর্তা।
গত জানুয়ারি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করেন, পাকিস্তান মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের ধোঁকা দিচ্ছে। এর পরপরই মার্কিন সরকার ঘোষণা দেয়, পাকিস্তান তাদের মাটিতে জঙ্গি নেটওয়ার্ক ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাদের জন্য বরাদ্দকৃত নিরাপত্তা সহায়তার প্রায় সবটাই কাটছাঁট করছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওই অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তান ঘোষণা দিয়েছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর কোনো গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করবে না। সূত্র: বিবিসি।