উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একান্ত বৈঠক শেষে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এখন দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলছে। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের কাপেলা হোটেলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বহু আকাঙ্ক্ষিত এ বৈঠক। কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি করছে এই বৈঠক। তবে বৈঠকে দুই নেতার আলোচনার বিষয়গুলোই মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র থেকে শুরু করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলছেন তাঁরা।
এএফপির খবরে বলা হয়, পারমাণবিক অস্ত্র থেকে শুরু করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলছেন ট্রাম্প ও কিম।
এই প্রথম উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মধ্যে কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলেছে বিবিসি। গত এক মাসের নানা জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ সকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং-উনের মধ্যকার বৈঠকটি সিঙ্গাপুরের সেন্টসা দ্বীপের এক বিলাসবহুল হোটেলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সিএনএনে এক প্রতিবেদনে বলেছে, শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠকে কিম ছাড়াও তাঁর শীর্ষ পরামর্শকেরা উপস্থিত আছেন। এর মধ্যে পিয়ংইয়ংয়ের শীর্ষ কূটনীতিক কিম ওং কোল রয়েছেন। গত মাসে এ বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কার সময় তিনিই ওয়াশিংটনে ট্রাম্পকে কিমের ব্যক্তিগত চিঠি হস্তান্তর করেছিলেন।
বৈঠকে এর বাইরে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ওং হো, কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান রি সু ওং উপস্থিত রয়েছেন। তবে গত এপ্রিলে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়া কিমের বোন কিম ওহ জংকে বৈঠকে দেখা যায়নি।
দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন, হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ জন কেলি।
গত এক বছরের দুই পক্ষের হুমকি বিনিময়ের পর আজ তাঁরা উত্তেজনা নিরসনে এবং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে কথা বলছেন।
বিশ্লেষকেরা এ বৈঠকের ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিয়েছেন। কেউ বলছেন, এটি শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। আবার অনেকে এটিকে ট্রাম্পের ‘প্রচারণার জয়’ বলে মনে করেন।