ওয়ানডেতে সর্বনিম্ন ইনিংসের মালিক জিম্বাবুয়ে। ২০০৪ সালে ৩৫ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। হারারেতে সেদিন স্বাগতিকদের এ লজ্জা দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এর আগের বছরই কানাডাকে ৩৬ রানে অলআউট করেছিল ভাস-মুরালির দল। এ তালিকায় তিনে থাকা ঘটনাটি ২০০১ সালের। কলম্বোতে ৩৮ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। সেদিন মুত্তিয়া মুরালিধরন বাগড়া না দিলে (শেষ ২ উইকেট পেয়েছিলেন) কে জানে একটা অবিস্মরণীয় ঘটনাও ঘটে যেত পারত। আগের ৮ উইকেটই যে পেয়েছিলেন চামিন্দা ভাস। ১০ উইকেট পাওয়ার অনন্য ঘটনা ঘটাতে না পারলেও, ওয়ানডের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড (৮/১৯) এখনো এই বাঁহাতি পেসারের।

সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডগুলো ঘাটতে গেলেই একটি জিনিস ‘কমন’ পড়ে যায়। প্রথম তিনটি ঘটনাতেই জড়িয়ে আছে শ্রীলঙ্কার নাম। তবে সেসব ক্ষেত্রে বোলিং দলের গৌরবটা ছিল শ্রীলঙ্কানদের। আজ উল্টো দশা হতে বসেছিল লঙ্কানদের, সর্বনিম্ন ইনিংসের বিশ্ব রেকর্ড দিচ্ছিল হাতছানি। ২০ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে কাঁপছিল সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত সে লজ্জা এড়িয়েছে, অল আউট হওয়ার আগে ১০৩ রান করেছে শ্রীলঙ্কা।
আজ অবশ্য আরেক বাঁহাতি পেসারই সর্বনাশ করেছেন শ্রীলঙ্কার। ইনিংসের পঞ্চম বলে সাদিরা সামারাবিক্রমকে বোল্ড করে শুরু, উসমান খান থামলেন সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে মিলিন্দা সিরিবর্দনাকে ক্যাচ বানিয়ে। এই ১৭ বলের মাঝেই শ্রীলঙ্কার প্রথম পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই পেসার। ২০০১ সালের পর এমন বিধ্বংসী স্পেল মাত্র দুবার দেখা গেছে। ২০০৩ বিশ্বকাপে চামিন্দা ভাস ১৬ বলের মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে আউট করেছিলেন। আর ২০১৩ সালে হল্যান্ডের ফন ডার গুগটেন কানাডার পাঁচ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন ১৯ বলের মধ্যেই। আজ গুগটেনকেও ছাড়িয়ে গেছেন উসমান।
৩.৩ ওভারের স্পেলে ১২ রানে ৫ উইকেট। ভাসের রেকর্ড কিংবা সর্বনিম্ন ইনিংসের বিশ্ব রেকর্ড—সবকিছুই তখন সম্ভব মনে হচ্ছিল। থিরিমান্নে ও প্রসন্নর ২৯ রানের জুটিতে সর্বনিম্ন ইনিংসের রেকর্ডটা এড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা। ৩৪ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন উসমান।














