তেরো মাসের শিশুর শরীরে বাসা বেঁধেছিল জটিল রোগ। এজন্য দেওয়া হয়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে দামী ইঞ্জেকশন। যার মূল্য প্রায় সোয়া ১৮ কোটি টাকার (১৬ কোটি রুপি)। এর পরেও বাঁচানো গেল না বেদিকা সৌরভকে। শেষ পর্যন্ত সকলকে কাঁদিয়ে হার মানতে হলো জীবনযুদ্ধে।
বেদিকার বাবা সৌরভ জানান, মৃত্যুর আগের দিন রাতেও বেশ হাসিখুশি অবস্থায় ছিল বেদিকা। কিন্তু হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে হাসপাতালে ওকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। ডাক্তারদের শত চেষ্টাতেও বাঁচানো যায়নি বেদিকাকে।।
শিশু বেদিকা আক্রান্ত হয়েছিল স্পাইনাল মাসকিউলার অ্যাট্রোফি নামক বিরল রোগে। এতে শরীরের একটার পর একটা মাসল অকেজো হয়ে পড়ে। চার মাস বয়স থেকেই বেদিকা নিজের হাতে ও নিজের গলা ধরতে পারত না। এমনকি সোজা হয়ে না দাঁড়াতে পারায় একদিকে হেলে পড়ে যেত।
এরপর ডাক্তাররা বিরল রোগটির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হওয়া জোলজেনস্মা ইঞ্জেকশন কেনার পরামর্শ দেন। অর্থের পরিমাণ বড় হওয়ায় সারাবিশ্ব থেকে প্রচুর সহায়তা পায় শিশুটির পরিবার। এরপর সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা হয় সেই দামী ইনজেকশনটিও।
শিশুটির বাবা বলেন, ইঞ্জেকশনটি দেওয়ার পর বেদিকার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছিল। এটি দেওয়ার পূর্বে সে একদম শয্যাশায়ী ছিল। ইঞ্জেকশনটি পুশের পর সে নড়াচড়া করতে পারত। গত মাসে বেশ আনন্দ করে জন্মদিনও পালন করা হয়েছিল তার। ডাক্তাররা জানিয়েছিল তিনমাসের যত্নে সে ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে বেদিকা আমাদের ছেড়ে চলে যায়।