দ. আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৩৫৪ রান। এতো রান চেজ করে জেতার কোনো রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। অর্থাৎ দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষেও বাংলাদেশ পড়ে গেছে বেকায়দায়।
বাংলাদেশের এমন আকাশ ছোঁয়া লক্ষ্য নির্ধারণের মূলে রয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান মাত্র ১০৪ বলে করে গেছেন তার ক্যারিয়ার সেরা ১৭৬ রান। এর আগে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে সিডনিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করা ১৬২ রান ছিলো তার সর্বোচ্চ।
এক সময় মনে হয়েছিলো ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিবেন ভিলিয়ার্স। শেষ পর্যন্ত তা পারেননি তিনি। রুবেল হোসেনের লো ফুলটস বলে লং অনে সাব্বিরের ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি।
ভিলিয়ার্সের ঝড়ের আগে ৯০ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন কুইনটন ডি কক ও হাশিম আমলা। ডি কক ৪৬ রান করে সাকিবের বলে আউট হন। আর আমলা থামেন ৮৫ রান করে।
প্রোটিয়াদের দলীয় ৯০ রানে চার বলের ব্যবধানে দুটি উইকেট তুলে নেন সাকিব। প্রথমে ডি কককে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। এরপর ডু প্লেসিকে ফেরান বোল্ড করে। প্রোটিয়া অধিনায়ক একটা রানও করতে পারেননি।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝড় গেছে মাশরাফির উপর দিয়ে। বাংলাদেশ অধিনায়ক ১০ ওভারে খরচ করেছেন ৮২ রান। এ ছাড়া নয় ওভারে ৭১ রান দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। সাকিব আল হাসান দুই উইকেট পেলেও ১০ ওভারে দিয়েছেন ৬০ রান। রুবেল হোসেন ১০ ওভারে ৬২ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন চার উইকেট। শেষ ওভারে পরপর দুই বলে দুটি উইকেট পেয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ ১৭৬ রান এসেছে ভিলিয়ার্সের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া ৮৫ রান করেছেন হাশিম আমলা এবং ৪৬ রান এসেছে কুইনটন ডি ককের ব্যাট থেকে।
এই ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যেতে হবে নিজেদের পুরোনো চেজের রেকর্ড। ২০১৫ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২২ রান করে জিতেছিলো বাংলাদেশ। এর চেয়ে বেশি রান করে জেতার কোনো কীর্তি নেই তামিম-মুশফিকদের।