খেলোয়াড় থেকে অজি টিমের স্টাফ পর্যন্ত, সবার থাকার জন্য বুক করা লাগবে গোটা একটি হোটেল। রাখতে হবে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। বিমানবন্দরে নেমে ইমিগ্রেশনে কালক্ষেপণ না করে সরাসরি উঠবে বাসে। বাংলাদেশ দলের বায়ো বাবল সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে হবে তাদের মন মতো।
প্রথমবারের মতো পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় পা রাখছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বড়ো দল, বড়ো সিরিজ, বেশি কিছু শেখার সুযোগ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যা বাংলাদেশের জন্য ভীষণ প্রয়োজন। অজিদের এত এত শর্ত মানতে কার্পণ্য করছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
অজিদের এমন নাক উঁচু চাওয়াতে বিরক্ত সংশ্লিষ্ট অনেকেই। বিসিবির পরিচালক নাঈমুর রহমান দূর্জয় বলছেন, ‘এখন করোনা বলে এমন করছে না, ওরা বরাবরই এমন। নিজেদের ব্যাপারে এক্সট্রা কেয়ারফুল’।
২০১৫ সালে কার্ডিফে ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে হারায় বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে সাদা পোশাকে চূর্ণ করে অজি দম্ভ। রইলো বাকী টি-টোয়েন্টি। এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোটে চার ম্যাচ। দূর্জয়ের আত্মবিশ্বাস, মাঠে সেরাটা দিতে পারলে ভালো সুযোগ আছে বাংলাদেশের।
সুযোগ কাজে লাগানো অবশ্যম্ভাবী। কেবল বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই নয়, অজিদের এহেন দাম্ভিকতায় আঘাত হানতে জবাব দিতে হবে বাইশ গজের গালিচায়।