তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সরকারের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে যে ব্যর্থ অভ্যুত্থান হয় তার সঙ্গে জড়িত চার সেনা সদস্যকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে জার্মানি। এদের মধ্যে একজন ওই অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে আঙ্কারার অভিযোগ। এ নিয়ে তুরস্ক ও জার্মানির সম্পর্কের আরো অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জার্মানির সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন দের স্পাইজেল এক প্রতিবেদনে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানি বিশ্বাসঘাতক ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে বলে তুরস্ক যে অভিযোগ করছে- এই রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে বার্লিন সে অভিযোগ খণ্ডনের সুযোগ হারাল।
তুরস্কের অভিযোগ, তুরস্কের সাবেক কর্নেল ইলহাম পি. (প্রকৃত পরিচয় ও পদবি প্রকাশ করা হয়নি) সন্ত্রাসী গ্রুপের মূল হোতা। তিনি আঙ্কারা মিলিটারি একাডেমিরও প্রধান ছিলেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কারও ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, তুরস্ক সরকারের সাঁড়াশি অভিযান নিয়ে এমনিতেই ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছে। কিছু ইউরোপিয়ান রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকার সংগঠন বলছে, তুরস্ক কর্তৃত্ববাদী শাসনের মতো আচরণ করছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ওই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত থাকা সন্দেহে ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। এ ছাড়া প্রায় দেড় লাখ লোককে চাকরি থেকে বরখাস্ত কিংবা স্থগিত করে রাখা হয়েছে।
আঙ্কারার অভিযোগ, অভ্যুত্থানকারীদের সঙ্গে দেশটির মুসলিম নেতা ফেতুল্লা গুলেনের যোগসাজশ রয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসিত আছেন।
অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে গত দুই বছরে জার্মানির বেশ কিছু নাগরিককে আটক করা হয়েছে। যাদের অনেকের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানকারীদের সরাসরি যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। অভ্যুত্থানে প্রায় ২৫০ লোকের প্রাণহানি ঘটে।