মহাদেশ পাল্টে আফ্রিকাতে গিয়েও লাভ হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। জিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকেও খালি হাতে ফিরেছে অজিরা। পাকিস্তানের কাছে ৬ উইকেটে হেরে শেষ হয়েছে অ্যারন ফিঞ্চদের জিম্বাবুয়ে সফর।
যদিও প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিয়ে ইনিংসের মাঝপথেই ম্যাচ জিতে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। পরের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তো টি-টোয়েন্টির দুটো বিশ্ব রেকর্ডই গড়েছিল তারা। এমন শুরুর পর মনে হয়েছিল, ইংল্যান্ড সফরে হারিয়ে ফেলা আত্মবিশ্বাস আবার ফিরে পাচ্ছে তারা। পাকিস্তানের সঙ্গে পরের ম্যাচে আরেকটি অসহায় হার বাস্তবে টেনে নামিয়েছে তাদের। আজ ফাইনালেও সেই হারের বৃত্তেই থাকল অস্ট্রেলিয়া।
ফাইনালের শুরুতে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী জুটির রেকর্ডের দুই মালিক আজও দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছেন। ১০ ওভারের আগেই ৯৫ রানের জুটি। ২৭ বলে ৪৭ রান করে অ্যারন ফিঞ্চ আউট হলেও ডি’আর্চি শর্ট ঠিকই নিজের কাজটা করে যাচ্ছিলেন। ১৭তম ওভারের শুরুতে শর্ট ফেরাতেই ঝামেলা পাকে অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৩ বলে ৭৬ রান করা শর্ট আউট হওয়ার পর ইনিংসের বাকি সময়টা রানই তুলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনারের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান করেছেন ট্রাভিস হেড। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৩ রান তুলে থেমেছে অস্ট্রেলিয়া।
এই রানের জবাবে খেলতে নেমে দুঃস্বপ্ন দেখেছে পাকিস্তান। স্কোরবোর্ডে ২ রান তুলেই বিদায় দুই ব্যাটসম্যান। এর মাঝে ওয়াইডে স্টাম্পিং হওয়ায় সাহিবজাদা ফারহান তো শূন্য বলে আউট হওয়ার অনন্য এক কীর্তিও গড়ে ফেললেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের লাগামছাড়া বোলিংয়ে পাকিস্তান চাপমুক্ত হলো। ষষ্ঠ ওভারে সরফরাজ আহমেদ (২৮) ফেরার পরও পাকিস্তানকে কোনো চিন্তায় পড়তে হয়নি।
এইদিকে ফখর জামান যে রয়ে গেছেন উইকেটে। পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো এই ওপেনার এক প্রান্তে রীতিমতো খড়্গ চালিয়েছেন। ১২ চার ও ৩ ছক্কা মেরে ম্যাচটাকে একপেশে করে ফেলেছেন এই ওপেনার। ৪৬ বলে ৯১ আন করা ফখর যখন আউট হলেন, জয় থেকে তখন ৩০ রান দূরে পাকিস্তান। কিন্তু হাতে ৪ ওভার থাকায় পাকিস্তানকে অনায়াসে জয় এনে দিয়েছেন শোয়েব মালিক। ৩৭ বলে ধীরস্থির মাথায় ৪৩ রান করে ৪ বল আগেই ট্রফি জিতে নিয়েছেন মালিক।