আইসিসির অনুমোদন পেল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে লীগ

0
আইসিসির অনুমোদন পেল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে লীগ

বিদ্যমান কাঠামোয় যে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বেশি দিন ধরে রাখা যাবে না, সেটা অনেক দিন ধরেই বুঝতে পারছিলেন ক্রিকেট প্রশাসক ও বাজার বিশ্লেষকরা। টেস্ট এবং ওয়ানডের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে বহুদিন ধরেই নানা রকম সংস্কার প্রস্তাব উঠছিল আইসিসির সভাগুলোতে।

আইসিসির অনুমোদন পেল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে লীগ

তারই ধারাবাহিকতায় অবশেষে অনুমোদন পেল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ওয়ানডে লিগ। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরই বদলে যাবে কাঠামো। শুরু হবে ৯ দলের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০২০-২১ মৌসুমে শুরু হবে ১৩ দলের ওয়ানডে লিগ, যেখান থেকে বেছে নেওয়া হবে ২০২৩ বিশ্বকাপের দলও।

টেস্ট মর্যাদা পাওয়া দল বর্তমানে ১২টি। শীর্ষ ৯ দলকে নিয়ে হবে টেস্টের চ্যাম্পিয়নশিপ, যেটা চলবে দুই বছর মেয়াদে। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশ এই সময়ে ছয়টি টেস্ট সিরিজ খেলবে, তিনটি দেশের মাটিতে আর তিনটি দেশের বাইরে। প্রতিটি সিরিজে সর্বনিম্ন দুটি টেস্ট ও সর্বোচ্চ পাঁচটি টেস্ট থাকতে পারবে এক সিরিজে। ২০২১ সালের এপ্রিলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে লর্ডসে। ওয়ানডের লিগ চালু হবে ২০২১ সাল থেকে, যে আসরটা একই সঙ্গে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব হিসেবেও কাজ করবে।

১৩ দলের এই লিগে আইসিসির ১২ পূর্ণ সদস্য দেশের পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের বিজয়ী দল। এই ১৩ দল ওয়ানডে লিগের প্রথম সংস্করণে দেশে চারটি ও বিদেশে চারটি মিলিয়ে মোট আটটি ওয়ানডে সিরিজ খেলবে দুই বছরে। প্রতিটি ওয়ানডে সিরিজ হবে তিন ম্যাচের। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে লিগের দৈর্ঘ্য বেড়ে হবে তিন বছর, তখন সব দলই সবার সঙ্গে খেলবে।

নতুন এই কাঠামো প্রণয়ন করা হলে ‘ডেড রাবার’ ম্যাচের সংখ্যা কমে আসবে বলেই বিশ্বাস করেন আইসিসির প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহর, ‘দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলোকে আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার চ্যালেঞ্জটা নতুন কিছু নয়। তবে এবারই প্রথম সবাই গ্রহণযোগ্য একটা সমাধানে একমত হয়েছে। এখন দর্শকরা বুঝতে পারবে, ওয়ানডে লিগে প্রতিটা ম্যাচের ফলেরই গুরুত্ব আছে। ক্রিকইনফো

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে