তালেবান শাসনামলে আফগানিস্তানের সরকারি অফিসগুলোতে নারীদের কিছু ভূমিকা থাকতে পারে। তবে তাদের নতুন সরকারে নারীরা নিয়োগ পাওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। গত সপ্তাহে জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতা শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টানিকজাই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “নারীরা বাইরে কাজ করতে পারবেন, তবে নতুন সরকারের উচ্চপদে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে না।”
সমাজে নারীদের ভূমিকা নিয়ে তালেবানের মনোভাব অন্যতম বিতর্কিত ইস্যু। গত মাসে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, আফগান নারীরা ইসলামী নীতির মধ্যে থেকে কাজ করতে পারবেন। তার কথায়, নারীরা সমাজের অন্যতম মুখ্য উপাদান। ইসলামী কাঠামোর মধ্যে থেকে তারা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।
এছাড়া তালেবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের সদস্য ইনামুল্লাহ সামঙ্গানির মুখেও আফগান নারীদের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে একই ধরনের কথা শোনা গেছে। তিনি বলেছেন, নারীরা শরিয়া আইন মেনে কাজে ফিরতে পারবেন।
সূত্র জানিয়েছে, তালেবানের রাজনৈতিক দপ্তরের প্রধান বারাদারের পাশাপাশি সংগঠনটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব এবং শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টানিকজাই থাকছেন নতুন সরকারের উচ্চ পদে। তালেবানের এক সদস্য নাম না প্রকাশের শর্তে বলেছেন, ৩ নেতা এরই মধ্যে কাবুলে পৌঁছেছেন। সেখানে নতুন সরকার ঘোষণার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, তালেবানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা হায়বাতুল্লাহ আখুনজাদা দেশটির ধর্মীয় বিষয়াদি দেখভাল করবেন এবং ইসলামী কাঠামোর মধ্যে শাসনের ওপর মনোযোগ দেবেন।