গ্রেপ্তারকৃত নায়িকা পরীমণিকে মাদক মামলায় আদালতে তোলা হলে ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ প্রদান করেছেন আদালত। মঙ্গলবার আদালত সিআইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে এই নায়িকার আরও ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন দুপুর ১২টায় নাতনিকে একবার দেখতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়েছিলেন পরীমণির শতবর্ষী নানা শামসুল হক গাজী। কম বয়সে বাবা মা’কে হারানো পরীমনি বড় হয়েছেন পিরোজপুরে নানা শামসুল হক গাজীর কাছে। নানার জন্য পরীমনিরও ভালোবাসার কখনো কোনো কমতি ছিল না।
নাতনিকে দেখতে আদালতে হাজির নানার সাক্ষাৎকার নিতে সাংবাদিকরা অনুরোধ করলে আবেগে কথা বলতে পারছিলেন না তিনি। একসময় ক্ষীণ স্বরে বলেন, ‘আমি ছাড়া ওর কেউ নাই।’
এরপর পরীরমণির সাথে সাক্ষাতের আশায় আদালত চত্বরে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলেও শেষ পর্যন্ত নাতনির সঙ্গে কোনোভাবেই দেখা করতে পারেননি তিনি।
এরপর শামসুল হক গাজী বলেন, ‘সে নিজের সারাটা জীবন মানুষকে দান করেছে। কিন্তু এখন সে পরিস্থিতির শিকার। নিজের একটা ফ্ল্যাট করে নাই, কিছু করে নাই। এফডিসিতে প্রত্যেক বছর ইদে পশু কোরবানি করে গরিব-দুঃখীদের জন্য। নিজের জন্য সে নিজে কিছুই করে নাই।’
‘এরপর কি হবে পরীমণির?, এমন প্রশ্ন জানানে নানা শামসুল হক আকাশের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘ন্যায্য বিচার হোক।’