রাশিয়া বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচটা বেলজিয়াম দাপটে জিতল ২-০ গোলে। চতুর্থ মিনিটে থমাস মিউনিয়ের ও ৮২ মিনিটে অন্য গোলটি এডেন হ্যাজার্ডের।
দাপুটের সঙ্গে চতুর্থ মিনিটেই গোল পেয়ে যায় বেলজিয়াম। রোমেলু লুকাকুর বাড়ানো বল ধরে নাসের চ্যাডলি নিচু ক্রস ফেলেন ডি বক্সে। থমাস মিউনিয়ের ভুল করেননি সুযোগটা কাজে লাগাতে। চতুর্থ মিনিটে গোলটা বিশ্বকাপ ইতিহাসেই বেলজিয়ামের দ্রুততম। পাশাপাশি ইংল্যান্ডও বিশ্বকাপে গোল হজম করল এত দ্রুত। এবারের বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের দশম খেলোয়াড় হিসেবে গোল করলেন তিনি। বিশ্বকাপের এক আসরে কোনো দলের এটা যৌথ সর্বোচ্চ রেকর্ড। ১০ জন গোল করেছিলেন ১৯৮২ ও ২০০৬ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের খেলোয়াড়রা।
খেলার ১২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত বেলজিয়াম। গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন কেভিন ডি ব্রুইন। অসাধারণ সেভে ইংল্যান্ডকে সে যাত্রা বাঁচান তিনি। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পুরো ১২০ মিনিটে মাত্র দুটি শট লক্ষ্যে ছিল ইংল্যান্ডের। গতকাল প্রথম ২০ মিনিটেই লক্ষ্যে দুটো শট ছিল তাদের। ২১ মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন হ্যারি কেইন। রহিম স্টার্লিংয়ের পাস থেকে নেওয়া ইংলিশ অধিনায়কের শট অল্পের জন্য যায় পোস্টের বাইরে।
এই ম্যাচ কেইন ও লুকাকুর গোল্ডেন বুটের লড়াইও ছিল। নিজের গোল চার থেকে পাঁচে বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ লুকাকু নষ্ট করেন বিরতির ঠিক আগে। হ্যারি মিগুয়েরের বাড়ানো বল ডি বক্সে পেয়েছিলেন লুকাকু। সামনে শুধু জন স্টোনস ও পিকফোর্ড। কিন্তু তাঁর শটটা বাইরে যায় স্টোনসের পায়ে লেগে।
৬০ শতাংশ বলের দখল রাখা ইংল্যান্ড গোল শোধের সেরা সুযোগটা নষ্ট করে ৬৯ মিনিটে। মার্কাস রাশফোর্ডের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ানে খেলে এরিক ডায়ার বল নিয়ে ঢুকে পড়েন বক্সে। তাঁর চিপ গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়াকে ফাঁকি দিয়ে জড়াতে যাচ্ছিল জালে। কিন্তু গোললাইনের ঠিক সামনে থেকে কর্নারের বিনিময়ে অবিশ্বাস্যভাবে সেটা ফেরান টবি অলডারওয়ার্ল্ড।
প্রতি আক্রমণ থেকে ৮০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ নষ্ট করেন থমাস মিউনিয়ের। তবে দুই মিনিট পর এডেন হ্যাজার্ডের আর ভুল নয়। কেভিন ডি ব্রুইনের পাস পেয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বেলজিয়ান অধিনায়ক। শিরোপা জিততে এসে এডেন হ্যাজার্ডদের সোনালি প্রজন্ম এখন দেশে ফিরবে তৃতীয় হওয়ার সান্ত্বনা নিয়ে।