ইতিহাসের পাতায় ডোনারুমা

0
ইতিহাসের পাতায় ডোনারুমা

ইউরো ২০২০ শুরুর আগে তার নাম জানতো ক’জন? ইতালির গোলবার মানেই জিয়ানলুইজি বুফন। একটা রূপকথা, একটা জ্বলজ্বলে লাভা। তাকে বসিয়ে গোলবারে আরেক জিয়ানলুইজি, জিয়ানলুইজি ডোনারুমা।

বয়স মাত্র ২২, ইউরোর মঞ্চ। এর চেয়ে বেশি চাপ বোধহয় বুফনের কারণে। পূর্বসূরী যদি কিংবদন্তি হয়, তাহলে প্রত্যাশার বাড়তি চাপ ঘিরে ধরা স্বাভাবিক। ইউরোর জার্নি শেষ হবার পর ডোনারুমাকে দেখে বোঝার উপায় নেই, পাহাড়সম চাপ সামলে কী মারাত্মক অসাধ্য সাধন করে ফেললেন!

ট্রাইব্রেকারে ইংরেজ তরুণ বুকোয়া সাকার শট ফেরাবার পর রোম থেকে তুরিন, মিলান থেকে আটালান্টা; ডোনারুমার জয়জয়কার। পাঁচ শটের চারটিতেই সঠিক দিকে ঝাঁপালেন, ইতালিকে পৌঁছালেন সঠিক গন্তব্যে।

সাড়ে ছয় ফুট উচ্চতার বিশাল দেহ, মস্তিষ্কও সমান সচল। বল রিসিভের দক্ষতায় যেমন, সতীর্থদের নিখুঁত পাস দেওয়ায় সফল। মাত্র ১৬ বছর বয়সে এসি মিলানে যোগ দেন, এবার তাকে কিনে নিল পিএসজি। প্রথম গোলরক্ষক হিসেবে ইউরোর সেরা খেলোয়াড়ের সম্মান অর্জন করে বোঝালেন, তারা ভুল কাউকে বেছে নেয়নি।

আধুনিক ফুটবলে গোলরক্ষকের ভূমিকা অন্য সময়ের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাইব্রেকারে ওয়ান অন ওয়ানে স্নায়ুর চাপ সামলানো দুঃসাধ্য। ডোনারুমা সফল। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে পাঁচবার ট্রাইব্রেকে দাঁড়ান, প্রতিবার শেষ হাসি ডোনারুমার।