ইরানের আকাশ সীমায় প্রবেশ করে গত মাসে দুটি ইসরাইলি এফ-৩৫ জঙ্গি বিমান কয়েকটি শহরের বেশকিছু স্থাপনার উপরে চক্কর দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পারমাণবিক শক্তি সংক্রান্ত স্থাপনা বলে মনে করা হয় এমন কয়েকটি স্থাপনার ওপরেও বিমান দুটি চক্কর দিয়েছে বলে জানিয়েছে কুয়েতভিত্তিক সংবাদপত্র আল জারিদা। খবর ইসরাইলের সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট।
তবে এ বিষয়ে ইরানের কোনো বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি। খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় ইরানের ঘাঁটিসহ অন্যান্য স্থাপনায় হামলা চালানোর পর এবার ইরানের আকাশ সীমায় ইসরাইলের এভাবে বিমান পাঠানোর ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আল জারিদা জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম এমন দুটি ইসারেইলি জঙ্গি বিমান সিরিয়া ও ইরাক হয়ে ইরানের আকাশ সীমায় প্রবেশ করেছিল। ওই বিমান দুটি ইরানের বন্দর আব্বাস, ইস্পাহান ও সিরাজ শহরে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুর ওপর দিয়ে উড়ে গেছে।
খবরে আরো বলা হয়েছে, জঙ্গি বিমান দুটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি। এমন বিমান একবার জ্বালানি নিয়ে ইসরাইল থেকে ইরানে যেতে ও ইরান থেকে ইসরাইলে ফিরতে সক্ষম। ইরানের পরমাণু স্থাপনা হিসেবে সন্দেহ করা হয় এমন কয়েকটি স্থাপনার ওপরেও তাদের উড়তে দেখা গেছে।
বিমান দুটি ইরানের রাডার ব্যবস্থাকে তো বটেই, এমনকি সিরিয়াতে স্থাপিত রুশ রাডারকেও ফাঁকি দিতে পেরেছিল ইরানে ঢুকতে। ইসরাইলি বিমানের ওই অভিযান যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা ছিল কি না সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সূত্রটি। ইসরায়েলের বিমানবাহিনীতে থাকা এফ-৩৫ জঙ্গি বিমানগুলো সিরিয়া ও সিরিয়া-লেবানন সীমান্তে চালানো অভিযানে আগে অংশ নিয়েছে। ইসরাইল গত ৫ বছরে সিরিয়াতে প্রায় একশো হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ার আকাশ সীমায় ইসরাইলের এফ-১৬ জঙ্গি বিমান ঢুকেছিল। সেখানে তারা ১২টি ইরানি স্বার্থসংশ্লিষ্ট লক্ষ্যে হামলা চালায়। অবশ্য ওই ঘটনায় ইসরাইলের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়।