ইরানের ওপর আরোপিত অবরোধ শিথিল রাখতে ২০১৫ সালে দেশটির সঙ্গে ছয় বিশ্ব শক্তির স্বাক্ষরিত চুক্তিটি আরও ১২০ দিনের জন্য বহাল রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তিটির নিষেধাজ্ঞার ছাড়পত্রে স্বাক্ষরের বিষয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন এটিই শেষবার যাতে এর ‘ভয়াবহ ত্রুটি’ ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্র সংশোধন করতে পারে। আর একে ‘নিরেট’ চুক্তি খাটো করে দেখার ‘দুঃসাহসী পদক্ষেপ’ বলছে ইরান।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সের কাছে ইউরোনেয়িাম প্রকল্প সীমিত করবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে ইরান। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, চলতি চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত হলেও হোয়াইট হাউজ চায় ইউরোপীয় স্বাক্ষরকারীরা ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বিষয়ে স্থায়ী অবরোধ আরোপ করুক।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেছেন, একটি ‘নিরেট’ চুক্তিতে খাটো করার এটি একটি দুঃসাহসী পদক্ষেপ। জার্মানি বলেছে, চুক্তিটি কার্যকর করতে তাদের আহ্বান অব্যাহত থাকবে। আর যুক্তরাজ্য ও ফান্সের সঙ্গে মিলে সামনে এগিয়ে নেওয়ার যৌথ রাস্তা খোঁজা হবে।
তবে ট্রাম্প চাইছেন, ইরানের ব্যালেস্টিক মিসাইল প্রকল্পও আলোচনার আওতার আসুক।
শুক্রবার দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, যদি কোনও সময় আমার মনে হয় সেরকম কোনও চুক্তিতে পৌঁছানো অসম্ভব তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাবো। নিষেধাজ্ঞা স্থগিত রাখার দিনেও আলাদাভাবে ইরানের ১৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন তিনি। তাদের বিরুদ্ধে অধিকার লঙ্ঘন, সেন্সরশিপ আরোপ আর জীবাণু অস্ত্র তৈরিতে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৫ সালে স্বাক্ষর হওয়া চুক্তিতে ইরানের ওপর আরোপিত কয়েক দশকের বৈশ্বিক অবরোধ তুলে নেয় ছয় বিশ্ব শক্তি। বিনিময়ে দেশটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির আয়তন কমাতে রাজি হয়। ইউরেনিয়াম প্রকল্প এমনভাবে বিন্যস্ত করতে সম্মতি দেয় যাতে করে তাতে পারমাণবিক বোমা বানানো না যায়। চুক্তি অনুযায়ী ১২০ দিন পরপর অবরোধ শিথিল অনুমোদনে বাধ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে ট্রাম্প বলছেন বারাক ওবামার সময়ে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিটি ‘সবচেয়ে খারাপ।’