ইরেশ যাকেরের বিয়েতে ‘উকিল বাবা’ হয়েছেন আসাদুজ্জামান নূর

0
ইরেশ যাকের

অভিনেতা ইরেশ যাকেরের বিয়েতে ‘উকিল বাবা’ হয়েছেন বাবা আলী যাকের আর মা সারা যাকেরের বন্ধু সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর। গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয় ইরেশ যাকের ও মিম রশিদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ স্থানীয় কাজির উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। সারা যাকেরের ভাষায়, ছোটখাটোর মধ্যে খুব সুন্দর অনুষ্ঠান হয়েছে। আয়োজনজুড়ে ছিল আনন্দঘন পরিবেশ। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় ছিলেন না ইরেশের কোনো বন্ধু কিংবা সহকর্মী। শুধু দুই পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আর বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানানো হয় অনুষ্ঠানে।
ইরেশ যাকের
আজ সোমবার সকালে সারা যাকের বলেন, গতকাল রাতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার পর ইরেশ ও মিম আসেন রাজধানী বনানীতে আলী যাকের ও সারা যাকেরের বাসায়। এখান নতুন বউকে বরণ করা হয় ধান-দূর্বা দিয়ে। পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী এ সময় নতুন বউকে দুধ দিয়ে পা ধোয়ানো হয়। আলতা পায়ে মেঝেতে রাখা শাড়ির ওপর দিয়ে হেঁটে আসেন মিম। এরপর কিছুক্ষণ তাঁরা ছিলেন এই বাসায়। পরে গভীর রাতে নতুন বউকে নিয়ে ইরেশ বনানীতে তাঁর নিজের বাসায় যান।

ছেলের বিয়েতে দারুণ খুশি সারা যাকের ও আলী যাকের। সারা যাকের বললেন, ‘ইরেশ বিয়ে করেছে, তাতে আমরা খুবই খুশি হয়েছি। সবাই ওদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য দোয়া করবেন।’

আগেই জানানো হয়েছে, এ বছর ২৪ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুতে বউভাত অনুষ্ঠান করবেন ইরেশ যাকের। তবে আজ সারা যাকের জানালেন, বন্ধু আর আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে ঢাকাতেও আরেকটি অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।

এদিকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় ইরেশ যাকের ও মিম রশিদের গায়েহলুদ ও মেহেদি অনুষ্ঠান। এখানে ছিলেন তাঁদের দুজনের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু আর আত্মীয়। সব মিলিয়ে ছিলেন শ খানেক অতিথি। ইরেশের স্ত্রী মিম রশিদ ছোট পর্দার তারকা মিথিলার ছোট বোন।

ইরেশ ও মিমের বিয়ের কথাবার্তা পাকাপাকি হয় গত ২৭ জানুয়ারি। ওই দিন সন্ধ্যায় দুই পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে বসেন। সেদিন বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। ইরেশ যাকের চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি উপস্থাপনাও করছেন। শিহাব শাহিনের ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ খল চরিত্র অভিনেতা হিসেবে ২০১৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।