এইবার ফিলিস্তিনে সকল মানবিক সহায়তা বন্ধের হুমকি দিলেন ট্রাম্প

0
ট্রাম্প

গত বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে জেরুজালেমকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাসকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের পরিকল্পনার কথাও জানান। এর প্রতিক্রিয়ায় প্যালেস্টাইনি লিবারেশন অর্গানাইজেশন- পিএলও জানায়, ট্রাম্প দ্বি-রাষ্ট্র নীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আর শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। তবে মঙ্গলবারের টুইট বার্তায় ট্রাম্প দাবি করেন, ‘ফিলিস্তিনে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার মানবিক সহায়তা দিই আমরা। বিনিময়ে আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা কিংবা সম্মান কিছুই পাই না। ঝুলে থাকা বহুল প্রতীক্ষিত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ব্যাপারেও সাড়া দিতে চায় না তারা।’
ট্রাম্প

ট্রাম্প এর দেয়া জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত মানবে না জানিয়ে তিনি সে সময় বলেন, শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতার বৈধতা হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ট্রাম্প তার টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘সমঝোতার সবচেয়ে কঠিন বিষয় জেরুজালেমকে আমরা আলোচনার টেবিলের বাইরে এনেছি, তা না হলে ইসরায়েলকে আরও বেশি মূল্য দিতে হতো। শান্তি আলোচনায় ফিলিস্তিনের কোনও আগ্রহ নেই দাবি করে তিনি প্রশ্ন তোলেন ‘কেন তবে আমরা তাদের এখনও তহবিল যুগিয়ে যাব?’
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের স্বীকৃতির পর মুসলিম বিশ্বসহ পৃথিবীজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এমনকি আমেরিকানরাও ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। বিরোধিতা জানায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বাকি সদস্যরাষ্ট্রগুলো। এমনকি ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানীর স্বীকৃতি দেয় ওআইসি। এর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের পথ ধরে ইসরায়েলও সরে আসে ইউনেস্কো থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা বন্ধ ও দেখে নেওয়ার হুমকির পরও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে