নাসির হোসেন আগে কখনো দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গেছেন মনে করতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগল, ‘এ’ দল আর একাডেমির হয়ে চারবার করেছি। তবে জাতীয় দলের হয়ে কখনো দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলা হয়নি।
নাসিরের সঙ্গে সাইফউদ্দিনের মিলটা হল ১৯ টেস্ট, ৫৯ ওয়ানডে ও ৩১ টি-টোয়েন্টি খেলা। বয়সভিত্তিক দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় আগেও গেছেন। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে যাবেন এই প্রথম। তবে অমিলটা হচ্ছে, নাসির দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অভিষেকের ৭ বছর পর, সাইফের সুযোগ পেয়ে গেলেন অভিষেকের ৫ মাসের মাথায়। গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২টি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ শেষ হয়নি এখনো। এর মধ্যে ওয়ানডে-প্রসঙ্গ চলে আসছে; আজ বিকেলে যে ওয়ানডে সিরিজের দল দিয়ে দিয়েছে বিসিবি। দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় এখন দক্ষিণ আফ্রিকায়। দেশ থেকে ৯ অক্টোবর মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের সঙ্গে কে কে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন, সেটির আভাস পাওয়া যাচ্ছিল গত বেশ কয়েক দিন। মাশরাফির সঙ্গে নিয়মিত বিসিবি একাডেমি মাঠে অনুশীলন করছেন নাসির-সাইফউদ্দিন।
অনেক দিন ধরেই জাতীয় দলে যাওয়া-আসার মধ্যে আছেন নাসির। গত মে মাসে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে সুযোগ পেয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। কিন্তু জুনে ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুযোগ মেলেনি। গত আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সুযোগ পেয়েও জায়গা করে নিতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে। ফিরেছেন ওয়ানডে সিরিজে। এই আসা-যাওয়ার সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন তিনি?
নাসিরের সোজাসাপটা কথা, এটা টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। যখন আমাকে তারা নেয়, মনে হয় আমাকে তাদের প্রয়োজন আছে। যখন নেয় না, মনে হয় প্রয়োজন নেই। আগে এসব নিয়ে অনেক চিন্তা করতাম। এখন করি না। এখন সুযোগ পেলে ভালো খেলার চেষ্টা করি। আর সুযোগ না পেলে দলে ঢোকার চেষ্টা করি।
সাইফের নাসিরের মতো অত অভিজ্ঞতা এখনো হয়নি। গত এপ্রিলে জাতীয় দলে পা রেখেছেন ২০ বছর বয়সী পেস বোলিং অলরাউন্ডার। এবার বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে খেলতে পুরোপুরিই তৈরি, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলের সঙ্গে খেলাটা সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। এই চ্যালেঞ্জ নিতে আমি তৈরি। চার-পাঁচ মাস খেলার মধ্যে আছি। এইচপির হয়ে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড সফরে গেছি। ওই সব কন্ডিশনে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, চেষ্টা করব সেটা দক্ষিণ আফ্রিকায় কাজে লাগাতে। আশা করি ভালো কিছু হবে।’
সেই ভালো কিছু করতে কতটা কঠিন পথ হাঁটতে হবে, সেটি নিশ্চয়ই অজানা নয় দুজনের।