গতকাল শুক্রবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে স্রেফ রানের ফল্গুধারা ছুটিয়েছে পাকিস্তান। ফখর জামান ও ইমাম-উল-হকের ব্যাটিং তাণ্ডবে আগে ব্যাট করে ৩৯৯/১ রানের পাহাড় গড়েন সফরকারীরা। রানের পসরা সাজানোর এ ইনিংসে রেকর্ড বুকে হয়েছে অনেক ওলটপালট।
বুলাওয়েতে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে ৩০৪ রানের জুটি গড়েন ফখর ও ইমাম, যা ওয়ানডেতে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড। ওপেনিং জুটিতে প্রথম ৩০০ রানের জুটিও। আগের সেরা উদ্বোধনী জুটি ছিল ২৮৬ রানের। ২০০৬ সালে লিডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই বিস্ফোরক জুটি গড়েন শ্রীলংকার সনাথ জয়াসুরিয়া ও উপুল থারাঙ্গা।
যেকোনো উইকেটে এ প্রথম ৩০০ ছোঁয়া জুটি পেল পাকিস্তান। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দলটির আগের সেরা জুটি ছিল ২৬৩ রানের। ১৯৯৪ সালে শারজায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে আমির সোহেলের সঙ্গে সেই জুটি গড়েন ইমামের কিংবদন্তি চাচা ইনজামাম-উল-হক।
ওয়ানডেতে সব মিলিয়ে ফখর-ইমামের চেয়ে বড় জুটি আছে মাত্র ৩টি। ইমাম ১১৩ রানে থামলেও ফখর ১৫৬ বলে ২১০ রানের (২৪x৪, ৫x৬) মহাকাব্যিক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। এ পথে হয়েছে অনন্য সব রেকর্ড। প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ফখর। এ ফরম্যাটে এটি পঞ্চম ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। ওয়ানডে ইতিহাসের ষষ্ঠ দ্বিশতক।
২১০ রানের ইনিংসে ২৪টি চার মারেন ফখর। পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের জন্য ওয়ানডেতে এক ইনিংসে এটিই সর্বোচ্চ বাউন্ডারির সংখ্যা।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১ উইকেটে ৩৯৯ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান, যা ওয়ানডেতে দলটির সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগে তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ৩৮৫। ২০১০ সালের জুনে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৮৫ করেছিল তারা।
৩৯৯ রানের ইনিংসে ৪২ ওভারে ফখর-ইমামের মোট সংগ্রহ ৩২৩। তাদের রানের সমষ্টি ৩২৭, যা এই সংস্করণের ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০০৮ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই কিউই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছিল ৩২৭ রান। সমষ্টিগতভাবে যা দুই ওপেনারের সর্বোচ্চ।
৪০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫৫ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। এতে ২৪৪ রানের বিশাল জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এ সংস্করণে রানের হিসাবে এটি দলটির দ্বিতীয় বড় জয়।