এখনো জয়ের মুখ দেখলো না জুভেন্টাস

0
এখনো জয়ের মুখ দেখলো না জুভেন্টাস

এই জুভেন্টাসের খেলা দেখে কে বলবে, লিগে গত দশ বছরের মধ্যে নয়বারের শিরোপাই গিয়েছিল তাদের ঘরে? ক্লাব ছেড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পাড়ি জমিয়েছেন গত কয়েক বছরে দলটার সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। হয়তো নিজের সঙ্গে জুভেন্টাসের লিগ-জয়ভাগ্যও নিয়ে গেছেন ওল্ড ট্রাফোর্ডে। নয়তো লিগে ম্যাচ জিততে এমন হাপিত্যেশ করতে কেন হবে জুভেন্টাসকে?

আজকের লীগ ম্যাচেও ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালিগ্রির শিষ্যদের। প্রতিপক্ষ অবশ্য শক্তিশালীই ছিল—এসি মিলান। নিজেদের মাঠে খেলা, জুভেন্টাসের সুবিধা ছিল ওদিক দিয়ে। সে সুবিধা জুভেন্টাস কাজে লাগাতে পারল কই? মিলানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে দলটা।শুরুতে আলভারো মোরাতার গোলে এগিয়ে গেলেও পরে মিলানের হয়ে সমতা ফেরান ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকার আনতে রেবিচ। ফলে, ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তুরিনের বুড়িদের।

চার মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় জুভেন্টাস। নিজেরা কর্নার পেয়েছিল মিলান, সেদিকে মনোযোগ দিতে গিয়ে নিজেদের রক্ষণ একদম ফাঁকা করে ফেলেছিল তারা। আর সে সুযোগটাই নেয় জুভেন্টাস। দুর্দান্ত এক প্রতি–আক্রমণে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার পাওলো দিবালার সহায়তায় দলকে এগিয়ে দেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার মোরাতা। গত ২৫ বছরে জুভেন্টাসের হয়ে মিলানের বিপক্ষে এত তাড়াতাড়ি কেউই গোল করতে পারেননি। ১৯৯৬ সালে তিন মিনিটে গোল করেছিলেন তৎকালীন ইতালিয়ান মিডফিল্ডার ও জুভেন্টাসের সাবেক কোচ আন্তোনিও কন্তে। প্রথমার্ধটা জুভেন্টাসের হলে দ্বিতীয়ার্ধটা নিশ্চিতভাবেই ছিল এসি মিলানের। ৭৬ মিনিটে তার ফলও পেয়ে যায় রোজোনেরিরা। ইতালিয়ান মিডফিল্ডার সান্দ্রো তোনালির কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে দলকে সমতায় ফেরান ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকার আনতে রেবিচ।

এই নিয়ে জুভেন্টাসের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে গোল পেলেন রেবিচ। ৮৭ মিনিটের দিকে ফরাসি ডিফেন্ডার পিয়েরে কালুলুর সুবাদে আরেকটা সুযোগ পায় এসি মিলান। কিন্তু তাতে কোনো গোল হয়নি। এই নিয়ে লিগে প্রথম চার ম্যাচেই জয়হীন থাকল জুভেন্টাস। নিজেদের ইতিহাসে এই নিয়ে চারবার এমন হলো তাদের।