সিজনের শুরু থেকেই দৈন্যদশা লিভারপুলের ডিফেন্সের। অনেক ম্যাচ এগিয়ে থেকেও হেরেছে কিংবা ড্র করেছে তারা। আক্রমণ ভাগে যখন প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে ত্রাস ধরাচ্ছে সালাহ, মানে, ফিরিমিনো, কৌটিনহোরা সেখানে গোলবারের সামনে যেন তামাশা করছে মিঙ্গোলেট, লোভার্ন, ম্যাটিপরা। তাইতো চ্যাম্পিয়ন্স লীগে সেভিয়ার মাঠে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকেও সেই ম্যাচ শেষ করতে হলো ৩-৩ গোলে ড্র করে।
সেভিয়ার মাঠে দারুন ভাবেই শুরু করেছিলো ইয়ুর্গুন ক্লপের শিষ্যরা। ম্যাচের মাত্র দুই মিনিটেই গোল করেন দলটির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবার্তো ফিরমিনো। তার কিছুক্ষন পরই ম্যাচের ২২ মিনিটে ব্যাবধান দ্বিগুণ করেন সেনেগাল সুপার স্টার সাদিও মানে। ৩০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন ফিরমিনো। ততোক্ষণে হয়ত নিজেদের বিজয়ী ভাবা শুরু করে দিয়েছিলো মার্সেসাইড ক্লাবটি।
কিন্তু বিরতির পরপরই তাদের দুর্বল রক্ষণ দূর্গ খোলাসা হয়ে যায় স্প্যানিয়ার্ডদের সামনে। ৫১ মিনিটে ওয়াসিন বিন ইয়াদের প্রথম গোল করার পর ৬০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আরেকটি গোল করেন তিনি। অতিরিক্ত সময়ে পিজ্জারোর গোলে ম্যাচে ৩-৩ সমতা আনে স্প্যানিশ ক্লাবটি। তবে এই ড্রয়ের পরেও পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে লিভারপুল। ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই গ্রপ’ এ সবার উপরে আছে লিভারপুল। ৭ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যাবধানে যথাক্রমে ২য় ও ৩য় অবস্থানে আছে সেভিয়া এবং স্পার্টাক মস্কোভা। কোন ম্যাচ না জিতে শুন্য পয়েন্টে সবার নিছে আছে ম্যারিবোর।
এদিকে জি গ্রুপের ম্যাচে তিমো ওয়ার্নার এবং নেভি কেইটার লক্ষ্যভেদে জার্মান ক্লাব আরবি লেইপজেগ ৪-১ গোলে হারায় ফরাসি লীগ চ্যাম্পিয়ন এএস মোনাকোকে। লেইপজিগের হয়ে দুটি গোল করেন ওয়ার্নার এবং একটি গোল আসে সামনের সিজনে লিভারপুলে যোগ দিতে যাওয়া নেভি কেইটা। অপর গোলটি আসে মোনাকো ডিফেন্ডার জার্মেসনের পা থেকে। নিজেদের জালেই বল জড়ান তিনি। মোনাকোর হয়ে একমাত্র গোলটি করেন রাদামেল ফ্যালকাও।
রাতের অন্য এক ম্যাচে ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলি ৩-০ গোলের জয় পায় তুরস্কের শাখাতার দানেস্কের সাথে। দলের হয়ে গোল করেন ইতালিয়ান লরেঞ্জো ইনসিগনে, দিয়েরস মার্টেনস ও পিতর যেইলিনস্কি। এই জয়ে নিজেদের শেষ ষোলর আশা বাঁচিয়ে রাখলো নাপোলি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ফেয়েনুর্ডের সাথে তারা জয় পেলে এবং সিটির বিপক্ষে শাখাতার হারলেই চলবে তখন।
Sabbir Akib