কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রীর সাফল্যের তালিকা বেশ বড়ই বলা চলে, এর সঙ্গে বিরাট কোহলির সাথে তার রসায়নও বেশ ভাল ও পাকাপোক্ত। এমতাবস্থায় তার হেড কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানো বেশ কঠিন। তবে সম্প্রতি শাস্ত্রী আভাস দিলেন, থামার সময় হয়ে গেছে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দায়িত্ব আর চালিয়ে না যাওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত তার কথায়।
ইংল্যান্ডের দ্য গার্ডিয়ানের সঙ্গে আলাপচারিতায় শাস্ত্রী বলেন, ’আমার এরকমই মনে হয়, বিশ্বকাপ দিয়েই শেষ। যা কিছু চেয়েছি, সব কিছু অর্জন করেছি আমি। পাঁচ বছর এক নম্বরে থাকা (টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে), অস্ট্রেলিয়ায় দুইবারের সফরে জয়, ইংল্যান্ডে জয়! এই গ্রীষ্মের শুরুতে মাইক আথারটনের (সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক ও ধারাভাষ্যকার) সঙ্গে কথা হচ্ছিল আমার। তাকে বলছিলাম, আমার কাছে এটাই চূড়ান্ত-অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো এবং কোভিডের এই সময় ইংল্যান্ডে জয়।’
গত জুনে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অবশ্য নিউ জিল্যান্ডের কাছে হেরে যায় ভারত। এছাড়াও, ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমি-ফাইনালে হেরে যায় ওই নিউ জিল্যান্ডের কাছেই। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও নিজের সময়কে দারুণ সফল বলেই মনে করেন শাস্ত্রী। বলেন, ’সাদা বলের ক্রিকেটে সব দলকেই তাদের আঙিনায় হারিয়েছি আমরা। এবার যদি বিশ্বকাপ (টি-টোয়েন্টি) জিততে পারি, তাহলে তা হবে সোনায় সোহাগা। এর চেয়ে বেশি কিছু নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমি একটা কথা সবসময় বিশ্বকাপ করি, অনাকাঙ্ক্ষিত হয়ে ওঠার আগেই সরে যাওয়া উচিত। এবং আমি বলব যে, এই দলকে নিয়ে আমি যা করতে চেয়েছি, তার চেয়ে বেশি পেয়েছি।’
জাতীয় দলে শাস্ত্রীর কোচিং অধ্যায়ের শুরু সহকারী কোচ হিসেবে। বিভিন্ন সময়ে তিন দফায় এই দায়িত্ব পালনের পর ২০১৪ সালের অগাস্টে ভারতের টিম ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। বছর দুয়েক ছিলেন এই ভূমিকায়। পরে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে দুই বছরের চুক্তিতে ভারতের কোচের দায়িত্ব নেন তিনি।
২০১৯ বিশ্বকাপের সময় সাময়িকভাবে তার মেয়াদ বাড়ানো হয় দেড় মাস। এরপর ওই বছরের অগাস্টে আবার দুই বছরের জন্য নতুন চুক্তি করেন এই বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত।