আন্তর্জাতিক ডেস্ক
এবার কোভিডের টিকার তৃতীয় ডোজের অনুমোদন চাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ফাইজার।তারা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থায় এই তৃতীয় ডোজের অনুমোদন চাওয়া হবে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
জানা গেছে, ফাইজার বায়োএনটেকের কোভিড টিকার তৃতীয় ডোজ করোনার মূল ভেরিয়েন্ট, বেটা ভেরিয়েন্ট ও দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে অনেক বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি করছে। সাধারণত কোভিড টিকার দুইটি ডোজ দিলে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, এর চাইতেও ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তৃতীয় ডোজে।
এর আগে ফাইজারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, করোনার ডেলটা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে তাদের টিকা কাজ করার প্রমাণ এসেছে। এবার প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তাদের তৈরি করা তৃতীয় ডোজও এই ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে কাজ করবে। তৃতীয় ডোজ ছাড়াও এই ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে বিশেষ টিকা তৈরির কাজ জার্মানিতে অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় তারা।
ফাইজার ও বায়োএনটেকের পক্ষ থেকে এও বলা হয়েছে, ধারণা মোতাবেক, কোভিড টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পর ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয় ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এর কারণ হিসেবে তারা জানায়, টিকার দুইটি ডোজ বা পূর্ণাঙ্গ টিকা গ্রহণের পর ছয় মাস পর্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের সুরক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তু এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টিকার কার্যক্ষমতাও কমতে থাকে।
ফাইজারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দ্রুত এসকল তথ্য জার্নালে প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) ও ইউরোপীয় মেডিসিনস এজেন্সির (ইএমএ) কাছে এসব তথ্য উপস্থাপন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলেই আগামী আগস্ট মাসেই ক্লিনিক্যাল স্টাডিজ এর কাজ শুরু হতে পারে।