কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও প্রতারণার অভিযোগে ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলায় ১০ হাজার টাকা মুচলেকা দিয়ে জামিন পেয়েছেন।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম কেশব রায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করার আগ পর্যন্ত এ জামিন বহাল থাকবে
এর আগে গত মঙ্গলবার সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিনের দায়ের করা তেজগাঁও থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলা নম্বর ১৪।
জানা যায়, গত ১ জুন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে চ্যানেল ২৪-এর সার্চ লাইট নামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে শফিক তুহিন জানতে পারেন, আসিফ আকবর তার অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছে। পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রা. লি. কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লি. গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লি. ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে।
গত ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির এই ঘটনা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। তার ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ‘অশালীন’ মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন রাতে ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। ৫৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড লাইভ ভিডিওর ২২ মিনিট থেকে তার বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন। ভিডিওতে আসিফ আকবর তাকে (শফিক তুহিন) শায়েস্তা করবেন এ কথা বলার পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, তাকে যেখানেই পাবেন সেখানেই প্রতিহত করবেন।
আসিফ আকবরের ভক্তরা এই নির্দেশনা পেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। আসিফ আকবরের এই বক্তব্য লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উসকানি দিয়েছেন। এতে তার (শফিক তুহিন) মানহানি হয়েছে এবং তিনি আতংকিত ছিলেন। যা শফিক তুহিন তার ফেসবুকের মাধ্যমেও সকলকে জানান।
পরদিন বুধবার সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে আসিফকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন নাকচ করেন। আবার আসিফের আইনজীবীরাও জামিন চাইলে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।