আফগান রাজধানী কাবুলের মিলিটারি একাডেমিতে হামলায় এখন পর্যন্ত ৬ জন নিহত এবং ১০ জনের আহত হওয়ার খবর দিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। তালেবান হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার একদিনের মাথায় মিলিটারি একাডেমিতে হামলা হলো।
কয়েকদিনের ব্যবধানে রাজধানী কাবুলে তৃতীয় দফার এই হামলা সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে আফগান প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে দুই সেনা সদস্যের পাশাপাশি ৪ জঙ্গি নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে এএফপি। এরইমধ্যে কথিত আমাক নিউজ এজেন্সির বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
স্থানীয় সময় সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে হামলার শিকার হয় মার্শাল ফাহিম ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি নামের ওই একাডেমি। প্রত্যক্ষদর্শীকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে প্রথমে টানা একঘণ্টা বিস্ফোরণের শব্দের পর এখনও স্বল্প বিরতি দিয়ে ছোট ছোট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দৌলত ওয়াজিরি মনে করছেন, ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারাই হামলাকারীদের টার্গেট। এএফপিকে তিনি বলেছেন,’সকালে সেনা ব্যাটলিয়নটি আক্রান্ত হয়েছে। হামলাকারীরা এটি ধ্বংস করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল’। তিনি জানান, ‘একজন বোমা হামলাকারীকে আমরা আটক করেছি। একজন মারা গেছেন নিজের শরীরে থাকা বোমার বিস্ফোরণে। এছাড়াও ৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। একজন এখনও আমাদের সঙ্গে লড়ছে।‘
গত সপ্তাহে একটি বিলাসবহুল হোটেলে হামলায় বিদেশিসহ অন্তত ২২ জন নিহত হওয়ার পর কাবুল জুড়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। ওই সতর্কতার মধ্যেই গত শনিবার শহরের সিটি সেন্টারের কাছে শক্তিশালী গাড়ি বোমা হামলা চালায় তালেবান গোষ্ঠী। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী বিস্ফোরক বোঝাই অ্যাম্বুলেন্সে করে চালানো ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১০৩ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন আরও ১৯১ জন। এবার লক্ষ্যবস্তু হলো সিটি সেন্টারের পশ্চিম পাশে অবস্থিত ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র মার্শাল ফাহিম ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি।
১০৫ একর আয়তনের এই মিলিটারি অ্যাকাডেমির বাইরে গত বছরের ২১ অক্টোবর চালানো এক হামলায় ১৫জন নিহত হয়। তালেবান সেই হামলার দায় স্বীকার করেছিল। জঙ্গিবাদী কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী মুনাফাভিত্তিক ওয়েবসাইট সাইট ইন্টেলিজেন্স-এ বলা হয়েছে, আমাক নিউজ এজেন্সির মাধ্যমে মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে চলমান হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস।