কোহলির দুর্দান্ত এক ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪০৫ রানের লিড পেয়েছে ভারত। চাপে যে কোহলি ভালো খেলেন, সেটা পুরোনো কথা। ওয়ানডেতে রান তাড়ার চাপের সেঞ্চুরি করার ইচ্ছা জাগে তাঁর। তাই বিরাট কোহলি যে অধিনায়কের দায়িত্ব পেলেই দুর্দান্ত হয়ে উঠবেন, সেটা তো বলা বাহুল্যই! টেস্টের অধিনায়কত্ব পাওয়ার পরপরই করে ফেললেন পাঁচ-পাঁচটি ডাবল সেঞ্চুরি।
শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলার কাজটা তো সেরে ফেলেছিলেন অনেক আগেই। শর্মা যখন সেঞ্চুরি পেলেন (১০২), ততক্ষণে ভারতের স্কোর ৬ উইকেটে ৬১০। তৃতীয় দিনেই জয়ের স্বাদ পেতে শুরু করেছে ভারত। এর আগে অবশ্য রেকর্ড ভাঙা-গড়ার এক দারুণ খেলায় মেতে উঠেছিলেন কোহলি।
এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে মার্চে গড়েছিলেন প্রথম কোনো অধিনায়ক হিসেবে টানা চার টেস্ট সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরি গড়ার রেকর্ড। এরপর দুটি সিরিজ ঠিক ব্যাটে-বলে হয়নি। আজ শ্রীলঙ্কান বোলারদের বাজে বোলিংয়ের সর্বোচ্চ ফায়দা তুলে পেয়ে গেলেন নিজের পঞ্চম ডাবল সেঞ্চুরি। ২৬৭ বলে ১৭ চার ও ২ ছক্কায় তুলেছেন ২১৩ রান। প্রায় ওয়ানডে গতিতে ছোটা এ ইনিংসেই ব্রায়ান লারাকে ছুঁয়েছেন। টেস্টে এত দিন অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ পাঁচটি ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তির। চার ডাবলে এত দিন ডন ব্র্যাডম্যান, মাইকেল ক্লার্ক, গ্রায়েম স্মিথদের মতো দুর্দান্ত সব অধিনায়কের পাশে ছিলেন। আজ তাঁদেরও ছাড়িয়ে গেলেন কোহলি।
অবশ্য সেঞ্চুরি করেই রেকর্ড গড়েছেন আরও গোটা কয়েক। অধিনায়ক হিসেবে ১৬ বার পঞ্চাশ পেরিয়েছেন, এর ১২টিই সেঞ্চুরি। ৭৫ শতাংশ ম্যাচেই সেঞ্চুরি, কমপক্ষে ১০ সেঞ্চুরি করেছেন এমন অধিনায়কদের মাঝে এত ভালো ‘কনভারশন রেট’ (ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেওয়া) আর কারও নেই। আর ভারতের অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে ১২ সেঞ্চুরি নেই আর কারও।
আর এ সেঞ্চুরিটি এ বছর সব ফরম্যাট মিলিয়ে কোহলির ১০ম। এক বছরে এর আগে সর্বোচ্চ নয়টি সেঞ্চুরি ছিল রিকি পন্টিং (২০০৫ ও ২০০৬) ও গ্রায়েম স্মিথের (২০০৫)। সে রেকর্ড আজ থেকে শুধুই কোহলির।