বাংলা সাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদ অনন্য এক নাম। মধ্যবিত্ত বাঙালির আবেগ, উচ্চবিত্তের বিলাসিতা হয়ে ধরা দিতেন তিনি। বই, চলচ্চিত্র, নাটক; প্রতিটি সেক্টরে সফলতা কুর্নিশ করে তাকে। একেকটি চরিত্র হয়ে আছে কালজয়ী।
অয়োময়ের এলাচি বেগম, বহুব্রীহির সোবহান সাহেব, উড়ে যায় বকপক্ষীর তৈয়ব আলী, কোথাও কেউ নেই’র বাকের ভাই। একেকটি চরিত্র দর্শকের মনে দাগ কেটেছে স্থায়ীভাবে। বাকের ভাইয়ের ফাঁসির প্রতিবাদে রাজপথে নামে মানুষ, পৃথিবীর ইতিহাসে যা বিরল।
এই চার চরিত্রকে নিয়ে ‘কেমন আছেন তারা’ শিরোনামে গত বছর জুলাইয়ে গ্রামীণফোন তৈরি করে কয়েক পর্বের একটি প্রমোশনাল অনুষ্ঠান। সেটি নিয়ে এই বছর জুলাইয়ে ঘুম ভাঙে হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের।
গ্রামীণফোন এটি তৈরির আগে অনুমতি নেয়নি, সেই অভিযোগে তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় হুমায়ূন পরিবার। হুমায়ূন আহমেদের মেধাস্বত্ব ব্যবহার করায় দাবি করা হয়েছে বড়ো অংকের আর্থিক ক্ষতিপূরণ। গ্রামীণফোনকে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। নইলে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা।
মেহের আফরোজ শাওন, জাফর ইকবাল, নুহাশ হুমায়ূন, শিলা আহমেদরা এক জোট হন গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়ো টেলিকম কোম্পানিটি কী জবাব দেন, সেটি সময়ই বলে দেবে।