চীন,পাকিস্তান যেভাবে ভারতীয় সেনাদের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছেঃ বেরিয়ে এলো সুন্দরী নারীদের চাঞ্চল্যকর তথ্য

0

ভারতের পাশ্ববর্তীদেশ চীন ও পাকিস্তানের সাথে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ। পাকিস্তানের সাথে কাশ্মির ও চীনের সাথে বিতর্কিত ডেকোলাম সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে। আর এর মধ্য ভারতের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রলুব্ধ করে তথ্য হাতিয়ে নিতে সুন্দরী নারীদের টোপ হিসেবে ব্যবহার করছে পাকিস্তান ও চীন। সেনাদের ফোন ট্র্যাক হচ্ছে এবং ব্যবহার করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমও। সীমান্তে নারী

ইন্ডিয়া টুডেরীক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান ও চীনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সুন্দরী নারীদের ব্যবহার করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রলুব্ধ করার প্রচেষ্টা করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে।। এই নারীরা সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ রেখে তাঁদের কাছ থেকে নানান তথ্য হাতিয়ে নেন। এ ক্ষেত্রে ফেসবুক ও হোয়াটস এপ এর মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে নারীরা। এ ধরনের প্রচেষ্টাগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য সেনা কর্মকর্তাদের সতর্ক দিয়েছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। পুরুষ সদস্যরা যেন নারীদের দ্বারা প্ররোচিত না হন সে ব্যপারে লক্ষ্য রাখতে বলা হয় সেনা সদস্যদের।

গোয়েন্দাদের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র ইন্ডিয়া টুডে-কে বলেছে, ‘শত্রুদের এ ধরনের প্রচেষ্টাগুলোর ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার জন্য সেনাদের সতর্কবার্তা দিয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। গোয়েন্দারা আরো বলছেন, ভারতীয় কর্মকর্তাদের জন্য ফাঁদে ফেলতে সুন্দরী পাকিস্তানি নারী, চীনা নাগরিক কিন্তু উর্দুতে কথা বলার ক্ষেত্রে সাবলীল, ইংরেজিতে অভ্যস্ত নারীদের টোপ হিসেবে ব্যবহার করছে।

যেভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে তথ্য তার বর্ণনা দিতে গিয়ে গোয়েন্দারা বলেন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের ফোনও ট্র্যাক করছে চীন। গোয়েন্দাদের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতীয় কর্মকর্তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারে অভ্যাসও বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা নজরদারি করছে। চীনে তৈরি স্মার্টফোন ব্যবহার করার ফলে সেনা কর্মকর্তারা তাদের রাডারের অধীনে আছেন।

তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যে ভারতীয় সেনারা যেসব পর্ন সাইটগুলোতে ঢুঁ মারেন এবং নারীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে চান, তাদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ওই দুই দেশ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমঃ পাকিস্তান ও চীনের ওই সুন্দরী নারীরা প্রথমে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাকে বাছাই করেন। এরপরেই উর্দুভাষী পাকিস্তানি এবং ইংরেজিভাষী চীনা ওই নারীরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন। নারীরা উর্দু কবিতা হিন্দির মতো করে বলে সেনাদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেন। এরপরই ফোনের নানান চটুল ও মিষ্টি মিষ্টি কথাবার্তার পর কফি শপ, রেস্তোরাঁ বা শপিং মলের দেখা করেন।

দেখার করার প্রথম দিনেই ওই নারীরা সেনা অফিসারদের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে। এ সময় নারীরা সেনাদের কাছে মিথ্যে তথ্য প্রকাশ করেন যে তাঁরা ধনী, একা এবং সংসারজীবনে অসন্তুষ্ট বা অতৃপ্ত গৃহিণী। তাঁরা কয়েক দিনের এমন প্রবণতা গোপনে ভিডিও করেন।

এরপরই ওই নারীরা সেনাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন। আর যা কিছু করেন সব ভিডিও টেপে রেকর্ড করেন। কারণ, সময়মতো এগুলো ব্যবহার করে সেনা অফিসারদের বাগে এনে তাঁদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেন। আর তথ্য দিতে অস্বীকার করলে ভিডিওগুলো ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল করে তথ্য দিতে বাধ্য করা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে