চীনের সংশোধিত সমুদ্র আইন মানবে না ফিলিপাইন। বিতর্কিত জলসীমায় নিজেদের সার্বভৌমত্ব রয়েছে দাবি করে ফিলিপিনো প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, তারা চীনা সমুদ্র আইন মানেন না। ওই অঞ্চলে চীনের হুমকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ফিলিপাইন-যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি (এমডিটি) সম্পর্কিত এক অনুষ্ঠানে ফিলিপিনো প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেলফিন লরেঞ্জানা বলেন, “পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে আমরা চীনাদের আইন মানবো না। এছাড়া ওই এলাকায় আমাদের সার্বভৌমত্ব রয়েছে। এ কারণে আমরা চীনাদের আইনকে স্বীকৃতি দেবো না।”
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেখানে এমডিটি পুনঃমূল্যায়ন এবং চীনের আঞ্চলিক হুমকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও সামরিক সহায়তাপ্রাপ্তির চেষ্টা করছেন তিনি।
দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ অংশ নিজেদের বলে দাবি করে চীন। এ নিয়ে কয়েক মাস আগে সামুদ্রিক ট্রাফিক নিরাপত্তা আইন সংশোধন করেছে বেইজিং। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া ওই আইনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে চলাচলকারী সব বিদেশি নৌযানকে চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য দিতে হবে।
২০১৬ সালে দ্য হেগে আন্তর্জাতিক আদালতের এক রুলে বলা হয়েছিল, দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ অংশে চীনাদের দাবির আইনি বৈধতা নেই। তবে সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ওই এলাকায় নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে থাকে বেইজিং। বিতর্কিত সমুদ্রসীমায় চীন কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির জেরে উত্তেজনা তৈরি হয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে।
ফিলিপাইন ছাড়াও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে চীনের। গত জানুয়ারিতে দেশটি তাদের কোস্টগার্ড আইনও সংশোধন করেছে। এতে বিদেশি নৌযানগুলোর ওপর গুলি ছোড়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে চীনা কোস্টগার্ডকে।