২০৫০ সাল নাগাদ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় অন্তত ৮০ কোটি মানুষ ক্ষতির মুখে পড়বে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কয়েক দশকের মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে সবচেয়ে বেশি। নেমে যেতে পারে জীবনযাত্রার মানও। এই ক্ষতি ভারতে সব থেকে বেশি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
গত বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ”সাউথ এশিয়া’স হট-স্পটস” শীর্ষক প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোকে হটস্পট হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০৫০ সাল নাগাদ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েক কোটি মানুষ ঝুঁকির মুখে পড়বে। যার মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছে ১৩ কোটি মানুষ। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ভারত। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রায় ৬০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে আসে।
সব থেকে বেশি ক্ষতির শঙ্কা বিশেষ করে দেশটির মধ্যাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিমে। মহারাষ্ট্র রাজ্য, ছত্তিশগড় এবং উত্তর প্রদেশের অবস্থা দিন দিন ভয়াবহ হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উঠে আসে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তর দেশ ভারতে জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ক্ষতি প্রতিবেশী দেশগুলোকেও সমানভাবে ভোগাবে।
এইদিকে ভারত পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. ফাইয়াজ এ. খুদসার বলেন, ‘কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হবে। পরিবেশ নিয়ে আমরা অনেক তথ্যই পাই, কিন্তু তা কাজে লাগাই না। ফলে ভবিষ্যতে পরণিতি ভোগ করতে হবে, এটাই স্বাভাবক। জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে নজর দেয়ার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা নিয়েও ভাবা চাই। এর জন্য প্রথমত গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে।’
গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এরইমধ্যে পানির সংকট দেখা দিয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। এতে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে অভিন্ন নদ-নদীর পানি বণ্টন সমস্যা আগামীতে প্রকট হতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।