নিজ জন্মভূমি যখন স্বাধীনতার প্রশ্নে উত্তাল, তখন লিগের একটি ম্যাচ কিংবা একটি জয় খুব বড় কিছু হতে পারে না জেরার্ড পিকের জন্য। কাতালুনিয়ার গণভোটের সময় রীতিমতো চাপে পড়েই নাকি লা লিগার ম্যাচ খেলতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। ৩ গোলে জয় এলেও এই ম্যাচটিকে নিজের জীবনের ‘সবচেয়ে বাজে অভিজ্ঞতা’ হিসেবে মনে করেন বার্সেলোনা-ডিফেন্ডার।
কাতালুনিয়ার স্বাধীনতা নিয়ে এখনো পর্যন্ত সংঘটিত দাঙ্গায় ৮৪৪ জন আহত হয়েছে। এমন উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে লাস পালমাসের বিপক্ষে ম্যাচটি না খেলার অনুরোধ জানিয়েছিল বার্সা। কিন্তু স্প্যানিশ লা লিগা কর্তৃপক্ষ এতে রাজি না হওয়ায় বার্সেলোনা প্রতিবাদ হিসেবেই রাজি হয় ‘দর্শকবিহীন’ ম্যাচ খেলতে। সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন পিকে। তিনি ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি, ‘ম্যাচটা খেলা খুবই কঠিন ছিল। এটি ছিল আমার পেশাদার জীবনের সবচেয়ে বাজে অভিজ্ঞতা। সাত বছর ধরে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি সামলেছি। কিন্তু আজ যা হলো, তা গোটা পৃথিবী দেখেছে।
কাতালুনিয়ার স্বাধীনতা প্রশ্নে বরাবরই উচ্চকণ্ঠ পিকে। গণভোটে ভোট দিয়েছেন। টুইটারে ছবি পোস্ট করে নিজের ভোট দেওয়ার ব্যাপারটি সবাইকে জানিয়েছেনও। নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে সব সময়ই স্প্যানিশ জাতীয়তাবাদীদের চক্ষুশূল এই অভিজ্ঞ ফুটবলার। অথচ তিনিই স্পেনের বিশ্বকাপ ও ইউরোজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।
নিজের জন্মভূমির স্বাধীনতার দাবি তাঁকে এতটাই উদ্বেলিত করেছে যে প্রয়োজনে স্পেন জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়াতেও দ্বিধা করবেন না, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারব। আমার মতো অনেকেই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন এবং এ রকম সহিংস ঘটনার বিরোধিতা করেন। যদি না হয়, তবে আমি সরে দাঁড়াব। ফেডারেশনের কেউ যদি মনে করেন আমি ঝামেলা পাকাচ্ছি, তবে ২০১৮ বিশ্বকাপের আগেই আমি জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়াব এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেব।