জাভা ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার এর গল্প

0

কম্পিউটারকে ইনিস্ট্রাকশন দিলে, সে সেই মতে কাজ করে দেয় ; সেটাই প্রোগ্রামিং। এই জিনিস আমার খুব ভালো লাগতো বলেই ডেভেলপমেন্টে গিয়েছিলাম। পরে দেখলাম, মোবাইলে অ্যাপ বানানো যায়। চেষ্টা করলাম বানাতে। কিছু ভিডিও বানালাম, কিছু লিখলাম। দেখাদেখি অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে শুরু করলো। তাদের অনেকেই এখন বড় অ্যাপ ডেভেলপার। গর্ব হয় বিষয়টা নিয়ে।

যখন দেখলাম কোড যেসব জিনিস ঠিক করে দিতে পারেনা, লজিক লুজ রেখে ডাটা হাতে ছেড়ে দিলে সে কিছু ডিসিশান নিতে পারে। এটা আমাকে খুবই চমকিত করলো। বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশুনা করা শুরু করলাম। টুক টাক ছোট খাটো জিনিস করা শুরু করলাম। যখন যেটা করেছি, নিজের সবটুকু দিয়ে করার চেষ্টা করেছি, এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম না। তবে, একটা সমস্যায় পড়লাম। প্রচুর থিওরেটিক্যাল জিনিস, কিন্তু ইমপ্লিমেন্ট করার জায়গা নেই। সেই মতন ডেটাও নেই।

এক বিখ্যাত লোক একদিন তাঁর অফিসে দাওয়াত দিলেন। বল্লেন, তাঁর এখানে(বিজনেসে) ডেটা আছে। আমি চাইলে জয়েন করতে পারি এবং সেগুলা নিয়ে কাজ করতে পারি। আমিও এমন কিছু চাইছিলাম।

প্রথম কাজ ছিলো অফিসে কি কাজ হয় সেটা বোঝা। ওয়েল, সেটা মোটেও শেষ হওয়া সম্ভব না। ৬/৭ বছর পুরনো অনলাইন মার্কেটপ্লেস। টনস অব লজিক্স! টনস অব রোলস! যাই হোক, কিছু শুরু করতে হবে। কি শুরু করবো কেউ জানেনা।

প্রথম যা চিন্তা করা হলো, তা হলো – less effort but most impactful কাজগুলো সিলেক্ট করা। সাগরে পড়ে গেলে আমি যা করি তা হল খড় কুটা প্ল্যাস্টিকের বোতল যা পাই সাথে নিয়ে নেই। পরে দেখি এগুলো দিয়ে কি করা যায়। যা মাথায় এলো লিখলাম। পড়াশুনাও করলাম। এরপর শুরু করলাম নিজের মত।

এখন আসা গেল মূল জায়গায়, ডেটা নিয়ে। ডেটা ধরে যা দেখলাম, তাতে অনেকগুলো বিষয় সামনে এলো। প্রথমত, যা ডেটা আছে তা বিশুদ্ধ না কিংবা কাজে লাগানোর মত না। আগে এগুলোকে সাইজে আনতে হবে। তাছাড়া বুঝতেও হবে। মাস খানে R Studio তে ডেটা ফেলে ঘাটাঘাটি করলাম। দেখলাম জরুরী অনেক কিছু নেই।

শুরু হল ডেটা স্টোর করার প্রক্রিয়া! যা মোটেও সহজ নয়। প্রতিদিন হাজার হাজার ইন্টারেকশন, লাখ লাখ ইভেন্ট ইউজারদের। দুই দিনেই মাথা নষ্ট! কিভাবে এবং কই ডেটা স্টোর করবো? এখন আবার প্রশ্ন এসে গেলো, না দরকারী কিছু স্টোর করছিনা তো। উল্টা পাল্টা কিছু স্টোর করলে সেটা ডেটাবেজ ভারী করে ফেলবে। কয়েক মাসে গিগাবাইট থেকে টেরাবাইট অব ডেটা হয়ে যাবে। এই ডেটা আবার কুয়েরী করতে হবে, এগুলো প্রসেস করে ডিসিশান নিতে হবে লাখ লাখ কাস্টোমারের জন্য।

শুরু হলো সংগ্রাম… (চলবে)

মোশারফ রুবেল