টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারতের হেড কোচের পদ থেকে সরে দাড়ানর সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রবি শাস্ত্রী।ইংল্যান্ডের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী সরাসরি কিছু না বললেও জানিয়েছেন অক্টোবর-নভেম্বরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তাঁর শেষ অ্যাসাইনমেন্ট হলেও হতে পারে। তিনি নাকি এরই মধ্যে যা যা অর্জন করতে চেয়েছিলেন, তার প্রায় সবকিছুই পেয়ে গেছেন।
বিরাট কোহলি এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই সংস্করণে ভারত দলের অধিনায়কত্ব আর করবেন না। কোহলির ঘোষণার পর শাস্ত্রীর কোচের পদে না থাকার ইঙ্গিত অনেক কিছুই বলে দেয়। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর সে সময়কার কোচ অনিল কুম্বলের সঙ্গে শাস্ত্রীর বিরোধ প্রকাশ্যেই এসেছিল। সে সময় বিসিসিআইর টেকনিক্যাল কমিটি কুম্বলের বদলে শাস্ত্রীকে কোচ করতে বাধ্য হয়েছিল। সেই টেকনিক্যাল কমিটির অন্যতম সদস্য সৌরভ গাঙ্গুলী এখন বিসিসিআইয়ের সভাপতি।
শাস্ত্রী কোচের পদ ছেড়ে দিলে নতুন হেড কোচ কে হবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। কেউ কেউ সম্ভাব্য কোচ হিসেবে বলছেন রাহুল দ্রাবিড়ের নাম। কারও মুখে আবার শোনা যাচ্ছে বীরেন্দর শেবাগের নামও। এরই মধ্যে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে বিসিসিআই নাকি শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনেকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু এ মুহূর্তে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কোচের পদে আসীন জয়াবর্ধনে নাকি প্রস্তাবটা বিনয়ের সঙ্গেই ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি এ মুহূর্তে যদি কোনো জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব নেন, সেটি হবে তাঁর নিজ দেশ শ্রীলঙ্কার কোচের দায়িত্ব। জয়াবর্ধনে এ মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার কোচের পদে ডাকের অপেক্ষায় আছেন। এর পাশাপাশি বিদেশি কোনো টি-টোয়েন্টি লিগে ফ্র্যাঞ্চাইজির দায়িত্ব পালন করাই সাবেক লঙ্কান তারকার কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয়।
জয়াবর্ধনেকে নিয়ে এমন খবরের পাশাপাশি আরেকটা গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। ভারতের নতুন কোচ হতে পারেন কুম্বলেও। জয়াবর্ধনে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় শাস্ত্রীর উত্তরসূরি হিসেবে এখন তাই কুম্বলের পাল্লাই ভারী। কুম্বলের আরও একটা সুবিধা হচ্ছে ২০১৭ সালে ভারতের কোচের পদটা বিরাট কোহলির গোঁয়ার্তুমিতে একপ্রকার ছেড়ে দিতে বাধ্যই হয়েছিলেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর অবদান, জানা-শোনা ও সবচেয়ে বড় কথা বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক, কুম্বলের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।
কুম্বলে এখন আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের কোচ। ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হলে তাঁকে সে চাকরি ছাড়তে হবে। প্রস্তাবে রাজি হলে জয়াবর্ধনেকেও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হতো। শাস্ত্রীর উত্তরসূরি কে হবেন তা জানতে অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।