আফগানিস্তান এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে। ফলে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়িয়েছে আফগানদের। তবে বাংলাদেশের জন্য তা মান রক্ষার। শেষ সর্বনাশ হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েই আজ মাঠে নামতে হবে সাকিব বাহিনীকে।
টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে আফগানিস্তান। স্বাভাবিকভাবেই এ ফরম্যাটে কিছুটা এগিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির দলটি। দেরাদুনে চলমান তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও যেন তাই ফুটে উঠেছে। প্রথম দুই ম্যাচে পাত্তাই পাননি টাইগাররা।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ভালো করলেও তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষের কাছে কেন বাংলাদেশের এমন ভরাডুবি তা নিয়ে চলছে ক্রিকেট রসিকদের ময়নাতদন্ত।
অন্যদিকে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে কাবুল। বাংলাদেশকে হারাতে পারলে তাতে বাড়তি মাত্রা যোগ হবে তা নিশ্চিত। কারণ প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলুড়ে কোনো স্বীকৃত দলকে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা দেবেন তারা!
দুই জয়ের নেপথ্য নায়ক স্পিন মাস্টার রশিদ খান। দুই ম্যাচেই বাংলাদেশকে একাই গুঁড়িয়ে দেন তিনি। তার জাদুকরী বোলিংয়েই খোলনলচে বদলে যায় ম্যাচের আবহ। ইতিহাস রচনা করতে এদিনও এ লেগির ওপর ভর করছে স্বাগতিকরা। ভরসা রাখছেন আরেক স্পিন তুর্কি মুজিব-উর-রহমানের ওপর।
এ ম্যাচে উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখতে পারে আফগানিস্তান। অর্থাৎ জয়ের ছন্দ ধরে রাখতে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নামতে পারেন আফগানরা।
বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন আসতে পারে। জয় পেতে মরিয়া টাইগার একাদশে একাধিক রদবদল ঘটতে পারে। জয় ভিন্ন কিছু ভাবছেন না দলপতি সাকিব আল হাসান। ম্যাচ জিতে সান্ত্বনা নিয়ে ফিরতে চান তিনি।
গেল দুই ম্যাচে তিন বিভাগেই (ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং) দুর্বলতা দেখা গেছে বাংলাদেশের। আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ছিল শারীরিক ভাষাতেও। জয় পেতে হলে এর সবই কাটিয়ে উঠতে হবে তামিম-মুশফিকদের।