জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে গত ২৩ জুলাই পর্দা উঠে টোকিও অলিম্পিকের। আজ পর্দা নামবে বৈশ্বিক এই ক্রীড়া ইভেন্টের। কোভিড মহামারীর কারণে পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল এক বছর। এতে যোগ হয় বিশাল অংকের ব্যয়। সব মিলিয়ে টোকিও অলিম্পিক ২০২০-র আনুমানিক ব্যয় ১ হাজার ৫৪০ কোটি ডলার।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় বলা হয়, এবারের আসর অলিম্পিকের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল আসর। ব্যয়ের বেশির ভাগ আসে জাপানি করদাতাদের অর্থ থেকে। ব্যয়ের তুলনায় লাভ কম বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে এসব ব্যয় নিয়ে বিতর্ক আছে। কোনটি অলিম্পিকের ব্যয়, কোনটি নয় তা নিয়ে আছে ভিন্নমত। সাধারণত অলিম্পিকের ব্যয় নির্ভর করে প্রস্তুতির ব্যয়ের উপর। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে ৪ হাজার কোটি ডলারের বেশি ব্যয়ের হিসাব দেওয়া হয়েছিল।
২০১৪ সোচি শীতকালীন অলিম্পিকে ৫ হাজার ১০০ কোটি ডলার ব্যয়ের কথা উল্লেখ করা হয়। তবে টোকিও অলিম্পিকে এসব ব্যয় হিসাব করা হয়নি। ব্যয়ের উৎস ও হিসাব স্পষ্ট করে না অলিম্পিক কমিটি।
আয়োজকরা স্থানীয় স্পন্সরদের কাছ থেকে রেকর্ড ৩৩০ কোটি ডলার সংগ্রহ করেছিল এবার। এবারের অলিম্পিকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কাউন্সিল (আইওসি)। অলিম্পিক আয়োজন করে ভেন্যুতে দর্শক ছাড়াও সম্প্রচার স্বত্ত্ব থেকে ৩০০-৪০০ কোটি ডলার আয় নিশ্চিত করেছে।