যেখানে ম্যাচ ড্র হলেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যায়, সেখানে কষ্ট করে ঝুঁকি নেওয়ার কী দরকার? ফ্রান্স আর ডেনমার্ক সেটাই করল যা তাদের করা উচিত। বাঁচিয়ে রাখল রক্ষণভাগ। দুই দলের এমন অবস্থানের কারণে প্রথমবারের মতো গোলশূন্য ড্র দেখল রাশিয়া বিশ্বকাপ।
দুই দলই ‘নিরাপদ ফুটবল’ খেলে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করল। অবশ্য এই ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল ফ্রান্স।
খেলার প্রথমার্ধে লক্ষ্য কোনো শট রাখতে পারেনি ডেনমার্ক। বেঞ্চের ছয় জনকে নিয়ে খেলা ফ্রান্সকে চাপে রাখতে পারেনি তারা। ২৯তম মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে দলকে এগিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ এসে যায় ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের সামনে। পিছন পিছন ছুটে আসা ডিফেন্ডার লুকা এরনঁদেজ চাপে রাখেন তাকে। গোলকিপার স্তিভ এগিয়ে ঝাঁপিয়ে বিপদ থেকে বাঁচান দলকে।
পরে ৩৯তম মিনিটে ফাঁকায় দাঁড়ানো গ্রিজমানের সামনে সুযোগ ছিল দলকে এগিয়ে নেওয়ার। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিয়ে দলকে হতাশ করেন আতলেতিকো মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড। খেলার গতি বাড়েনি দ্বিতীয়ার্ধে। দুই দলেরই মনোযোগ ছিল নিজেদের জাল অক্ষত রাখার দিকে। বেশির ভাগ সময়েই খেলা হয় মাঝমাঠে।
খেলার ৫৪তম মিনিটে এরিকসেনের ফ্রি-কিক ফস্কে যায় মাঁদাঁদার হাত থেকে। প্রতিপক্ষের কেউ সুযোগ নেওয়ার আগেই বল নিয়ন্ত্রণে নেন এই গোলকিপার। ৭৮তম মিনিটে দেম্বেলের জায়গায় নামেন কিলিয়ান এমবাপে। তাতেও বাড়েনি ফ্রান্সের আক্রমণের ধার। দুই দলই যেন সময়টা কাটিয়ে দেওয়ার দিকে মনোযোগী ছিল। শেষের দিকে দুই দলই শুনেছে দুয়ো।