ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাবির এক শিক্ষার্থী ও ঢাকা কলেজের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাবির শাহনেওয়াজ হোস্টেলের সামনে এই ঘটনা ঘটে। তবে এর কারণ নিয়ে দুই পক্ষ থেকে দুই ধরনের মন্তব্য পাওয়া গেছে।
এই ঘটনায় আহতরা হলেন- ঢাবির চারুকলা অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহাদাত, ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শামীম ও আবীর। ঢাকা কলেজের আহত দুইজন ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা যায়।
ঘটনাস্থলে থাকা ঢাবির কয়েকজন শিক্ষার্থী দাবি করেন, ঢাবির শাহনেওয়াজ হোস্টেলের সামনে বিজয় কর্নার রেস্টুরেন্ট ঘিরে ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় তাঁরা কয়েকজন ছাত্রীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী শাহাদাত এর প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় শাহাদাতকে ঢাকা কলেজের কয়েকজন মারধর করে। এতে তাঁর মাথা ফেটে যায়।
আবার ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ঘটনাস্থলে থাকা শাহনেওয়াজ হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে। এতে ঢাকা কলেজের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শামীমের মাথা ফেটে যায়। আবির নামে আরেক শিক্ষার্থীও আহত হয়।
পরে উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীরা শাহনেওয়াজ হোস্টেলের সামনে অবস্থান নিলে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান দাবি করেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোনো কারণ ছাড়াই আমার বন্ধুদের মারধর করেন। হয়তো আমরা ওইখানে আড্ডা দিচ্ছিলাম, তাদের এটা ভালো লাগেনি।’
আহত ঢাবি শিক্ষার্থী শাহাদাত দাবি করেন, ‘ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা এসে আমাদের হোস্টলের সামনে মেয়েদের নিয়ে বাজে কমেন্ট করেছে। তাদের নিষেধ করলে তাঁরা আমাকে মারধর করে। এতে আমার মাথা ফেটে যায়।’ সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানি বলেন, দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। আমরা প্রক্টরিয়াল টিম পাঠিয়েছি।