তুরস্কের স্থল সেনারা উত্তর সিরিয়ায় কুর্দি নিয়ন্ত্রিত আফরিন এলাকায় ঢুকে পড়েছে। রোববার তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছন।
ইলদিরিম জানিয়েছেন, আফরিন এলাকা থেকে কুর্দিদের তাড়িয়ে দিয়ে সিরিয়ার ভেতরে ৩০ কিলোমিটারব্যাপী একটি ‘নিরাপদ এলাকা’ প্রতিষ্ঠাই তুরস্কের সেনাবাহিনীর লক্ষ্য। তবে কুর্দি মিলিশিয়া ওয়াইপিজি এ খবর অস্বীকার করেছে। তুরস্কের বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করা হয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেছে তারা।
শনিবার বিমান হামলার মাধ্যমে কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে তুর্কি বাহিনী। ওয়াইপিজি জানিয়েছে, শনিবার আফরিনে তিন যোদ্ধা ও ছয় বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। তুরস্কের সীমান্তবর্তী শহর কিলিসে রাতভর কুর্দিরা রকেট হামলা চালিয়েছে। তুরস্ক জানিয়েছে, স্থল অভিযান শুরু করার আগে তারা ১৫০টিরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে।
ওয়াইপিজিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে তুরস্ক। তাদের ধারণা তুরস্কে নিষিদ্ধ কুর্দি জঙ্গি সংগঠন পিকেকে’র সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন জোটকে সহায়তা করেছে ওয়াইপিজি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, ইসলামিক স্টেটের ফিরে আসা ঠেকাতে তারা সিরিয়ায় তুরস্ক সীমান্তবর্তী একটি নতুন সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করবে – যা হবে কুর্দি-প্রধান। এতে তুরস্ক ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে জানিয়েছে, এই বাহিনীকে ‘আঁতুড়ঘরেই নির্মূল করা হবে’।
তুরস্ক সমর্থিত ফ্রি সিরিয়ান আর্মির যোদ্ধারা আফরিন এলাকায় ঢুকছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদলু। প্রধানমন্ত্রী ইলদিরিম জানিয়েছেন, অভিযানে স্থলবাহিনী যোগ দিয়েছে এবং রোববার সকালে ওয়াইপিজে নিয়ন্ত্রিত এলাকা পার হয়েছে।