রাশিয়া বিশ্বকাপ একের পর এক নাটক জন্ম দিচ্ছে। ইতিমধ্যে বিদায় নিয়েছে সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও স্পেন। তাদের পথ ধরে বাড়ি ফিরেছে শক্তিশালী পর্তুগাল। এবার কী বিদায়ঘণ্টা বাজবে পরিষ্কার ফেভারিট ক্রোয়েশিয়ার?
না তবে অপেক্ষা করতে হলো শেষ দৃশ্য পর্যন্ত। যেখানে সফল পরিণতি হলো ক্রোয়াটদের। টাইব্রেকার নামক ভাগ্যে জিতে গেল তারা। ডেনমার্ককে ৩-২ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখালো লুকা মড্রিচ-ইভান রাকিতিচরা।
নোভগোরদ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ক্রোয়েশিয়া-ডেনমার্ক। ভূমিকাতেই গোল পেয়ে যায় ডেনমার্ক। শুরুর ৫৭ সেকেন্ডের মাথায় নিশানাভেদে এবারের বিশ্বকাপে দ্রুততম গোলের রেকর্ড গড়েন মেথিয়াস জর্গেনেনেন।
তবে তার রেকর্ডের আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান মারিও মানজুকিচ। এরপর এগিয়ে যেতে মরিয়া আক্রমণ চালায় উভয় দল। তবে কোনো দলই গোলমুখ খুলতে পারেনি। ফলে স্কোর লাইন ১-১ নিয়ে বিরতিতে যায় তারা।
ব্রেকের পর আক্রমণের ধারা বাড়ায় ক্রোয়েশিয়া। তবে মূল ঠিকানায় বল পাঠাতে পারেনি ক্রোয়াটরা। বলতে গেলে দুর্ভাগ্যবশত গোল পায়নি তারা। মড্রিচ-রাকিতিচ-মানজুকিচের বেশ কয়েকটি শট গোল পোস্ট না গোলবারে লেগে ফিরে এসেছে। মাঝে মধ্যে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠেছে ডেনমার্ক। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি তারাও। একজন ভালো ফিনিশারের দারুণ অভাববোধ করেছে ডেনিশরা। ফলে ১-১ সমতাতেই নির্ধারিত ৯০ মিনেটের খেলা শেষ হয়।
এরপরে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এ সময়ে গোল পেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় ক্রোয়েশিয়া। সুযোগও পায় দলটি। ১১৪ মিনিটে ডেনমার্ক গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান রেবিচ। সেটি নিশ্চিত গোল হতো। তবে তাকে ফাউল করে তা নস্যাৎ করেন নিকোলাই জর্গেনসেন। এতে পেনাল্টি পায় ক্রোয়াটরা। কিন্তু তা থেকে গোল আদায় করতে পারেননি লুকা মড্রিচ। ফলে আগের অবস্থাতেই খেলা শেষ হয়।
খেলা নিষ্পত্তির জন্য টাইব্রেকারের দ্বারস্থ হতে হয়। যেখানে জমে ওঠে নাটক। ডেনমার্ক গোলরক্ষক কাসপেস স্মাইকেল শট রুখে দিলে থামিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়া গোলকিপার দানিয়েল সুবাসিচও। একজন গোল হজম করলে করেন অন্যজনও। ফলে অপেক্ষা করতে হয় শেষ শট পর্যন্ত। যেখানে জিতে যান ক্রোয়াট গোলরক্ষক। ডেনিশ গোলরক্ষক সুবাসিচ না পারলেও অসাধারণ দক্ষতায় বল থামিয়ে সমর্থকদের আনন্দে ভাসান তিনি।