তানভীর শাহরিয়ার রিমন
পত্রিকার হেডলাইনে সাথে যে ছবি, সেখানে মেহেদীমাখা হাতের মাঝে লিখা, “ডোন্ট লাভ মি-বিচ !”
সংবাদপত্র তো জাতীর বিবেক ! সেই বিবেক কতটা ঘুমিয়ে আছে, কতটাইবা জেগে আছে আর কতটা ঘুম আর জেগে থাকার অদ্ভুত মাঝামাঝি এক অবস্থানে আছে, বুঝিনা আসলে । বিজনেস, হ্যাঁ, এটাই হয়ত এডিটলিয়াল নীতিমালার মূল বিষয এখন !! নয়ত দেশের শীর্ষ একটা সংবাদপত্রের হেডলাইন কেন হবে, ডোন্ট লাভ মি বিচ ! নিজেকে বিচ লিখে নাকী বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছেন তিনি সমাজকে, এখানেই মনে হয় কেউ কেউ হিরোইজম খুঁজে পেয়েছেন !
অথচ আমি প্রথম পাতায় খুঁজছিলাম রিয়েল লাইফ হিরোকে । প্লেনভর্তি শত মানুষের জীবন বাঁচানো ক্যাপ্টেন নওশাদকে । না, প্রথম পাতায় খুঁজে পেলাম না । খুঁজেছি গবেষক, বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরীকে যিনি এশিয়ার নোবেল খ্যাত ম্যাগসাসাই পুরষ্কার পাচ্ছেন ! তিনি আছেন ভেতরে, চিপায় । দেশে লোকজন গবেষনায় আগ্রহী হবে কী করে ?
সিঙ্গাপুর কেন এগিয়ে, আমরা কেন পিছিয়ে এই নিয়ে মাঝেমাঝে সংবাদপত্র গুলো বিশ্লেষন ধর্মী আর্টিকেল ছাপে । কিন্তু নিজেরাই
ভুল শিরোনাম খুঁজে নিয়ে প্রমাণ দেয়, কেন আমরা পিছিয়ে ! এটা প্রমোট করার কোনো বিষয় হোলো, ডোন্ট লাভ মি বিচ ??
ওইযে বলেছি সেদিন , ঘৃণা বিক্রী হয়, ভালোবাসা না । নেগেটিভ খবর দ্রুত চাউর হয়, পজিটিভিটি না । ওইটাই । ওখানেই ব্যবসা প্রোথিত ! নেরেটিভ খুবই সিম্পল- দিনশেষে খবর বেচা লাগবে । বাণিজ্যে লক্ষ্মী !
আমি খুশী হতাম, যদি ওই হাতের তালুতে লিখা থাকত, নো হেট্রেড, স্প্রেড লাভ এন্ড কমপ্যাশন !! আহা, আফসোস !!!
- লেখকের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে