দুদলই ছিল প্রায় একই সমশক্তির। মাঠের খেলাতেও এর প্রতিফলন ঘটল। শেষ পর্যন্ত হলো তুমুল লড়াই। তবে শেষ হাসি হাসল উরুগুয়ে। পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এ মহারণে এডিনসন কাভানির কাছে হেরে গেছে পর্তুগাল। তার নৈপুণ্যের কাছেই হার মানতে হয়েছে পর্তুগিজদের। জোড়া গোল করে যে তাদের বিদায় নিশ্চিত করেছেন এ সুপারম্যানই।
লিওনেল মেসির পর এর মধ্য দিয়ে বিশ্ব ফুটবলের আরেক সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরও বিশ্বকাপ স্বপ্নের সলিলসমাধি ঘটল। দিনের আরেক ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে ৪-৩ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে আর্জেন্টিনা। সঙ্গে মেসিরও বিশ্বকাপ স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটে। রাত পোহালেই আলবিসেলেস্তেদের বিমান ধরতে হবে বাড়ির।
উরুগুইয়ানরা শুরুতেই একাধিক আক্রমণ দাগায়। ফলও আসে হাতেনাতে। ৭ মিনিটের মাথায় সাফল্য পেয়ে যায় তারা। দুর্দান্ত হেডে পর্তুগালের জালে বল জড়ান কাভানি। তিনি গোল করলেও এর রূপকার ছিলেন লুইস সুয়ারেজ।
ব্যাকফুটে চলে গিয়ে খেলায় গতি আনে পর্তুগাল। মুহুমুর্হু আক্রমণে উরুগুয়ে শিবিরে আতঙ্ক ছড়ায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা। তবে শক্ত হাতে তাদের সব প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে উরুগুয়ে রক্ষণসেনারা। ফলে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় পর্তুগিজদের।
বিরতি থেকে ফিরেও আক্রমণের গতি সচল রাখে পর্তুগাল। ফলে সমতায় ফিরতেও বেগ পেতে হয়নি। ৫৫ মিনিটে সফল্য লক্ষ্যভেদ করেন পেপে। কিন্তু এ গোলের কারিগর ছিলেন রাফায়েল গ্যারাইরো। এতে খেলায় ফেরে পর্তুগিজরা।
তবে পর্তুগালের আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ফের দৃশ্যপটে কাভানি। ৬২ মিনিটে ঠিকানায় বল পাঠিয়ে তাদের উল্লাস মাটি করে দেন এ চতুর গোলমেশিন।
পর্তুগাল পরে খেলায় ফিরতে মরিয়া আক্রমণ চালায়। তবে উরুগুয়ের প্রাচীরে ফাটল ধরাতে পারেনি তারা। ফলে ২-১ গোলের হারে স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ইউরোপিয়ান পাওয়ারকে।
গোটা ম্যাচে এদিন নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন রোনালদো। গোল করা তো দূরের কথা, গোলপোস্ট বরাবর জোরালো শটও নিতে পারেননি সিআর সেভেন। স্বভাবতই দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে তাকে ও তার দলকে বাড়ি ফিরতে হলো ।