জীবনের অনেক রঙ। সেটি পরীমনির চেয়ে ভালো কে টের পাবে এখন! ঢাকাই সিনেমার বিতর্কিত ও রহস্যময়ী এই নায়িকার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের যে ধারায় মামলা করা হয়েছে, তাতে একটি ধারায় অপরাধের বর্ণনা অনুযায়ী সাজা হতে পারে এক বছর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত।
অন্য এক ধারা মোতাবেক, হতে পারে ছয় মাস থেকে এক বছরের সাজা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ (১) এর সারণি ২৪ (খ) ধারায় বলা আছে, মাদকদ্রব্যের পরিমাণ যদি ১০ কেজি বা লিটারের বেশি হয় এবং ১০০ কেজি বা লিটারের কম হয় তাহলে সর্বনিম্ন তিন বছর ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড উভয় হবে।
অপর এক ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে কাউকে প্ররোচনা দিলে কিংবা সাহায্য করলে বা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে অথবা চেষ্টা করলেও অপরাধ ঘটুক বা না ঘটুক, উক্ত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের সমান দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০১৮-র যেসব ধারায় মামলা হয়েছে, সেগুলো প্রমাণিত হলে পরীমনির সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা হতে পারে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে র্যাব। এরপর র্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে। মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০১৮-এর ৩৬ (১) এর সারণি ২৪ (খ)/৩৬(১) এর সারণি ২৯(ক)/৩৬ (১) এর সারণি ১০ (ক)/৪২(১)/৪১ ধারা দেওয়া হয়। বর্তমানে চারদিনের রিমান্ডে আছেন পরীমনি।
